গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টে ধাক্কা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ আপাতত জেলেই থাকবে হবে তাঁকে।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরুর পর উঠে আসে প্রোমোটার অয়ন শীলের নাম। এরপর তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তল্লাশির সময় পুরসভার নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয় বলে জানায় তারা। তারপর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অয়নকে। পরবর্তীতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও নাম জড়ায় তাঁর। ইডি ও সিবিআই, উভয়ের হাতেই গ্রেপ্তার হন তিনি। ইতিমধ্যেই দুটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। তাই জামিন পেতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অয়ন।
বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআই বলে, "তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। পুরসভায় যারা পাশ করতে পারেনি তাঁদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে ওর ভূমিকা রয়েছে।" তদন্তকারী সংস্থার তরফে আরও বলা হয়, ১৭ টি পুরসভা নিয়ে তদন্ত চলছে। অন্য পুরসভা নিয়েও তদন্ত চলছে। আরও ব্যক্তির যোগ থাকার সম্ভবনা আছে। এদিকে অয়নের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, "সাউথ দমদম পুরসভা নিয়ে শুধু তদন্ত হয়েছে। চার্জশিট জমা পড়েছে। বাকি ১৬টি পুরসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আটকে থাকতে হবে?" সওয়াল-জবাব শেষে অয়ন শীলের জামিনের আর্জি খারিজ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।