সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের দরজা খোলার পর এই প্রথম দীপাবলি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে রেকর্ড বুকে তুলে রাখতে চায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাই দীপোৎসব উদযাপনের জন্য রীতিমতো মহাসমারোহের আয়োজন করা হচ্ছে। অথচ এ হেন আয়োজনে ব্রাত্য খোদ স্থানীয় সাংসদ অবধেশ প্রসাদ। তাঁকে নাকি দীপোৎসবে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। কোনও পাসও দেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির।
এবার দীপোৎসব উদযাপিত হবে রীতিমতো মহা সমারোহে। সরযূ নদীর তীরে ২৫ লাখ প্রদীপ জ্বালিয়ে, নিজেদেরই গত বছরের পুরনো রেকর্ড (২১ লাখ) ভাঙতে চলেছে অযোধ্যা প্রশাসন। সঙ্গে আবার তৈরি হবে আরেক নতুন রেকর্ড। একসঙ্গে ১১০০ অযোধ্যাবাসী করবেন গণ সন্ধ্যারতি। হবে ড্রোন শো। এ প্রসঙ্গে অযোধ্যা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বাতাসের জন্য প্রদীপ নিভে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জন্য ২৮ লাখ প্রদীপ জ্বালানো হবে।
তবে এই আয়োজন কি শুধু রাম মাহাত্ম্য প্রচারের জন্যই? নাকি লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার ক্ষতে প্রলেপ লাগানোও? ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে ৮০-র মধ্যে ৬২টি আসনে জিতেছিল এনডিএ, সেখানে এবার থামতে হয় মাত্র ৩৬টিতে। হারতে হয়েছিল অযোধ্যার কেন্দ্র ফৈজাবাদেও। তারপর থেকেই মুখ পুড়েছে বিজেপির। ’২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবেই হোক এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মোদি-শাহ-যোগী। সেই লক্ষ্যপূরণের জন্যও দীপাবলি, দীপোৎসবকে কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি।
এসবের মধ্যেই দীপোৎসব নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠছে। অযোধ্যা যে কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই ফৈজাবাদ কেন্দ্রের সাংসদকেও নাকি আমন্ত্রণ জানানো হয়নি দীপোৎসবে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অবধেশ প্রসাদের অভিযোগ, বিজেপি একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়েও রাজনীতি করছে। সপা সাংসদ বলছেন, "আমি ভাগ্যবান যে অযোধ্যার পবিত্রভূমি থেকে সাংসদ হয়েছি। কিন্তু বিজেপি এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়েও রাজনীতি করছে। দীপোৎসবের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী কোনও পাসও দেওয়া হয়নি।" তবে অবধেশ জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ না পেলেও তিনি অযোধ্যা যাবেন।"