সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যালোপ্যাথ ডাক্তাররা আয়ুশ (AYUSH) চিকিৎসকদের সমান বেতন পাওয়ার যোগ্য। NRHM প্রকল্প প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। উল্লেখ্য, আয়ুশ বলতে আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে আয়ুশ চিকিৎসক ও অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসকদের বেতনের পৃথক কাঠামো ছিল। এরপরই হাই কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, দুই বিভাগের চিকিৎসকরাই একই বেতন কাঠামোয় থাকার যোগ্য। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ড সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়ই বহাল রাখল।
[আরও পড়ুয়া: টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, বকেয়া না মেটালে কয়লাখনিতে ব্যারিকেড গড়ার হুঁশিয়ারি হেমন্ত সোরেনের]
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, ”হাই কোর্টের রায়ের রায়ের সঙ্গে ভিন্নমত হওয়ার কোনও কারণ আমরা খুঁজে পাইনি। যে বিশেষ লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল তা বাতিল করা হল। আমরা বলতে পারি, এনআরএইচএম প্রকল্পে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের অ্যালোপ্যাথিক, মেডিক্যাল অফিসার ও দাঁতের ডাক্তারদের মতোই ধরতে হবে।” এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের সমতুল্য বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত।
২০১০ ও ২০১৩ সালের মধ্যে উত্তরাখণ্ড সরকার এনআরএইচএম প্রকল্পের অধীনে রাজ্যে আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি এবং ডেন্টাল মেডিকেল অফিসারদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ এলাকার মানুষ যেন স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা পায় এবং মানুষ উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। কিন্তু আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের সঙ্গে অন্যদের বেতনের পার্থক্য ছিল। যদিও প্রথম দিকে ততটা পার্থক্য ছিল না। কিন্তু পরে অন্যদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হলেও আয়ুশ চিকিৎসকদের বেতন বাড়েনি। ফলে পার্থক্য ক্রমেই বাড়তে থাকে। এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আয়ুশ চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুয়া: স্বামীকে গাছে বেঁধে চোখের সামনে মহিলাকে গণধর্ষণ, দাঁড়িয়ে দেখল বাকিরা, চাঞ্চল্য যোগীরাজ্যে]
এপ্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট জানিয়েছিল, আয়ুশ চিকিৎসকরা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের সমান বেতন পাওয়ার যোগ্য। সেই রায়ই অবশেষে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।