সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক আয়ুর্বেদিক পণ্যের নির্মাতা সংস্থা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডও এবার ডিজিটাল হওয়ার পথে এক পা এগোল। বাবা রামদেবের এই স্বদেশি সংস্থা এবার গুগল ও ফেসবুকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অনলাইন মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপনের উপর জোর দিচ্ছে। আধুনিক প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের কাছে ভারতীয় পণ্যকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতেই এই অভিনব উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
[বিহারে মাও-পুলিশ সংঘর্ষ, ৭ ঘন্টা পর হাওড়া দিল্লি রুটে শুরু ট্রেন চলাচল]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পতঞ্জলির এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ফেসবুক ও গুগলের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। পাইলট প্রজেক্টের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকে। সংস্থার ওই শীর্ষকর্তার দাবি, অনলাইন মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও পতঞ্জলি হইচই ফেলে দিয়েছে। ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় কনজিউমার প্যাকেজড গুডসের নিরিখে বর্তমানে পতঞ্জলি এক নম্বর, সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্যের তালিকায় পঞ্চম স্থানে, দাবি ওই কর্তার।
জুন মাসেই পতঞ্জলির ইউটিউব গড় ‘ভিউ’ ৩০ লক্ষ থেকে বেড়ে ১৫ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। গুগলে পতঞ্জলি লিখে সার্চ করার প্রবণতা বেড়েছে অন্তত ১১ গুণ। গুগল ইন্ডিয়ার ইন্ডাস্ট্রি ডিরেক্টর বিকাশ অগ্নিহোত্রী বলছেন, ‘পতঞ্জলির পণ্য অনলাইনে যা জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেটা দেখেই বোঝা যায় দেশের যুব সম্প্রদায় এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে পারে।’ ফেসবুকেও পতঞ্জলির জনপ্রিয়তা এখন দিন দিন বাড়ছে। সংস্থার ডিজিটাল এজেন্সি ম্যাঙ্গোডেটার সিইও সন্তোষ কুমার বলছেন, ‘ফেসবুকে পতঞ্জলি যা প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, দেখে আমরা অভিভূত। সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া পেয়েছি কর্নাটক, ওড়িশা ও পাঞ্জাব থেকে।’
কুমারের মতে, প্রথাগত ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনের বদলে মাত্র ৬-৭ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে খামতি জানতে চাওয়ায় আখেরে লাভ হয়েছে পতঞ্জলিরই। ফেসবুক পেজের সাবস্ক্রাইবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৮৬,৭০৯ জনে। ইউটিউব চ্যানেলের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে, বর্তমানে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা এক লক্ষের কাছাকাছি। কী করে অনলাইন মার্কেটিংয়েও বাজিমাত করল পতঞ্জলি। এই বিষয়ে সংস্থার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এক কর্তা জানাচ্ছে, এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ফেসবুকে আঞ্চলিক ভাষায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার কৌশল। অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক ও তেলেঙ্গানায় স্থানীয় ভাষায় বিজ্ঞাপন দিয়েই জিতে নেওয়া গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মন, বলছেন ওই কর্তা। আর এই সব উদ্যোগের শীর্ষে রয়েছে পতঞ্জলির ‘গো স্বদেশি’ ক্যাম্পেন ও বাবা রামদেবের তুমুল জনপ্রিয়তা। একা রামদেবের ফেসবুক পেজেই ফলোয়ার্সের সংখ্যা ৮৬ লক্ষের আশেপাশে। সুতরাং বাবা রামদেবের সংস্থার জনপ্রিয়তাও যে নেটদুনিয়ায় ক্রমশই বাড়বে, সে বিষয়ে আর সন্দেহ কোথায়?
[জানেন, বন্ধুর প্রাণ বাঁচাতে কী করলেন চেন্নাইয়ের এই ব্যক্তি?]
The post ‘ডিজিটাল’ হচ্ছে বাবা রামদেবের পতঞ্জলি, বিক্রি বাড়াতে ফেসবুক-গুগলের সঙ্গে গাঁটছড়া appeared first on Sangbad Pratidin.