সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বুধবার রাতে বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ঢাকার বসুন্ধরার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। অভিনেত্রী মেঘনাকে ৩০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের এই প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয়ের কথা জানালেন খোদ অন্তর্বর্তি সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

রবিবার নিজের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আসিফ নজরুল বলেন, 'মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়াটা হয়তো ঠিক হয়নি। বিশেষ ক্ষমতা আইনের প্রয়োগটাও ঠিক হয়নি।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "মেঘনাকে সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আটক করেছে। এটা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।"
প্রসঙ্গত, মেঘনা আলম ২০২০ সালে 'মিস আর্থ বাংলাদেশ' খেতাব জিতে প্রচারের আলোয় আসেন। পরিবেশ রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা হিসাবে প্রশংসিতও হন তিনি। সম্প্রতি নিজের সোশাল মিডিয়া পেজে লাইভে এসে মডেল-অভিনেত্রী এক বিদেশি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ওই বিদেশি কূটনীতিক নাকি নিজের প্রভাব খাটিয়ে মেঘনাকে সত্য গোপন করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। লাইভ ভিডিওটি অবশ্য পরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর সেই কূটনীতিকের সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী। মেঘনার আটক হওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং মুহম্মদ ইউনুস সরকার। এবার আইন উপদেষ্টার মন্তব্য আগুনে ঘি পড়ল।