সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনাই অবশেষে সত্যি হল। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভরাডুবির পরই সব ধরনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বাবর আজম। বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে নিজেই জানিয়ে দিলেন সে কথা।
সমর্থকদের একরাশ প্রত্যাশা কাঁধে নিয়ে ভারতে পা রেখেছিলেন বাবর আজমরা (Babar Azam)। কিন্তু বিশ্বকাপে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থই হয় পাকিস্তান। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় দল। তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা। তবে কি ব্যর্থতার দায় নিয়ে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি? শোনা যাচ্ছিল, প্রাক্তন ক্রিকেটার, পাক বোর্ড চেয়ারম্যান রামিজ রাজা এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছিলেন বাবর। তাঁদের পরামর্শ মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এবার যাবতীয় জল্পনার অবসান নিজেই ঘটালেন বিশ্বকাপের ‘ব্যর্থ’ ক্যাপ্টেন।
[আরও পড়ুন: নিজামে বিভাস অধিকারী, কেন ফের CBI স্ক্যানারে পার্থ-অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ নলহাটির প্রাক্তন TMC নেতা?]
বাবর জানান, “এখনও মনে আছে সেই মুহূর্তটা, যখন ২০১৯ সালে পাক বোর্ডের তরফে ফোনটা পেয়েছিলাম। আমায় নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গত চার বছরে মাঠে আর মাঠের বাইরে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছি। তবে সবসময়ই পাকিস্তানের সম্মানরক্ষায় নিজের সেরাটা উজার করে দিয়েছি। সাদা বলের ক্রিকেটে দলকে এক নম্বরে পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব যতটা ক্রিকেটারদের, ততটাই কোচ এবং ম্যানেজমেন্টেরও। তাই তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে আমাদের সমর্থন করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সমর্থকদেরও ধন্যবাদ।” বিশ্বকাপ (World Cup 2023) থেকে ছিটকে গিয়েও কিন্তু নিজের বিবৃতিতে ব্যর্থতার দায় কার্যত এড়িয়েই গেলেন তিনি। বরং তাঁর আমলেই যে দল ব়্যাঙ্কিং শীর্ষে পৌঁছেছিল, সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন বাবর।
এর পরই নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানিয়ে লেখেন, “সব ধরনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। সিদ্ধান্তটা কঠিন। তবে আমার মনে হয়, এটাই সরে দাঁড়ানোর সঠিক সময়। তবে তিন ফরম্যাটেই খেলব। নতুন অধিনায়কের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেব।” শেষে পাক বোর্ডের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরই নয়া অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল পাক বোর্ড। প্রত্যাশা মতো তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকেই ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হল। সহ-অধিনায়ক শাদাবকে যে অধিনায়ক করা হবে না, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। কারণ নেতা হিসেবে পাক বোর্ডের পছন্দ ছিল আফ্রিদিকেই। শেষমেশ তাঁর নামেই পড়ল সিলমোহর।