shono
Advertisement

‘একবছর পর চাকরি কেড়ে নেওয়া কাম্য নয়’, আদালতের রায়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ববিতা

টাকা ফেরত প্রসঙ্গে কী বললেন ববিতা?
Posted: 03:34 PM May 16, 2023Updated: 03:34 PM May 16, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। দীর্ঘ  আইনি লড়াইয়ের পর পরেশকন্যা অঙ্কিতার চাকরি ‘ছিনিয়ে’ নিতে সক্ষম হয়েছিলেন ববিতা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই চাকরি কেড়ে নিল আদালতই। রায় শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ববিতা। কার ভুলে এই পরিণতি? জানা নেই বলেই মন্তব্য ববিতার।

Advertisement

ববিতার অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে। জল গড়ায় আদালতে। মামলার শেষে জয় পান ববিতা। অঙ্কিতার চাকরিই শুধু নয়, তার চাকরি জীবনের বেতনের পুরো টাকা ফেরত দিতে হয়। যা পান ববিতা। এত পর্যন্ত সবটা ববিতার দিকে থাকলেও চাকরিতে যোগের পরই তাঁর একটি সার্টিফিকেট প্রকাশ্যে আসে। সেই সার্টিফিকেট দেখে শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায় আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোরে (Academic score) ২ নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই ‘ভুলে’র জন্য ববিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ভুল না হলে চাকরি পাওয়ার কথা অনামিকার। নতুন করে শুরু হয় আইনি লড়াই।

[আরও পড়ুন: কমল প্রাথমিকের চাকরি বাতিলের সংখ্যা, ‘এত দুর্নীতি, উপায় ছিল না’, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]

মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে ববিতার চাকরি পাবেন অনামিকা। এতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ববিতা। বলেন, “অনেক প্রতিকুল পরিস্থিতিতে আমি লড়াই করে চাকরি পেয়েছি। একবছর পর চাকরি কেড়ে নেওয়া মোটেও কাম্য নয়। কিন্তু ভুল আমার না কমিশনের সেটা জানি না।” টাকা ফেরত প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, এই মুহূর্তে ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে পারবেন তিনি। বাকি টাকার জন্য সময় দিতে হবে ৩ মাস।

এদিন ববিতাকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “আপনি যা করেছেন, তাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারতাম।” পাশাপাশি আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে অনামিকাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠিতে অভিষেকের নাম মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা CBI-ED’র, শেষ শুনানি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement