ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূলের লাগাতার চাপ! অবশেষে বোধোদয় নির্বাচন কমিশনের! ৮৫ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের ভোটারদের শুনানি কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই হবে শুনানির ব্যবস্থা। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাল নির্বাচন কমিশনের। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অসুস্থ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদেরও যেতে হবে না শুনানিতে। তাঁদেরও বাড়িতেই শুনানি ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। আর এই সিদ্ধান্তে খুশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখছেন, 'তৃণমূল সবসময়েই মানুষের পক্ষে কথা বলে। আজ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে যে ইস্যু তুলে ধরা হয়েছিল, তাতে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে আমরা খুশি।'
গত শনিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর সংক্রান্ত শুনানি পর্ব। যা নিয়ে সাধারণ মানুষকে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রবল ঠান্ডায় কলকাতার চেতলা গার্লস স্কুলের শুনানি কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় এক ৯০ বছরের বৃদ্ধকেও। অথচ ৮৫ পার হওয়া প্রবীণ ভোটারদের শুনানিতে ডাকা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রথম দিন থেকে সর্বত্র বহু প্রবীণ তো বটেই, অসুস্থ মানুষকেও শুনানির লাইনে দাঁড়াতে দেখে বিতর্ক শুরু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আবার হাসপাতালে ভর্তির দিনই এক অন্তঃসত্ত্বাকেও শুনানির লাইনে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এভাবে ক্রমাগত রাজ্যবাসীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। যা নিয়ে লাগাতার নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়ায় শাসকদল তৃণমূল। এমনকী শুনানি পর্বে প্রবীণদের হয়রানি নিয়ে আগেই মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সোমবারও কলকাতায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় পাঁচ সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যেখানে প্রবীণ নাগরিকদের হয়রানি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। এরপরেই স্বস্তি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি কমিশনের। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ৮৫ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের ভোটারদের শুনানি কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকী অসুস্থ থাকলে কিংবা বিশেষভাবে সক্ষমদেরও শুনানির জন্য ডাকা হবে না। ইতিমধ্যে এমন কোনও ভোটারকে যদি নোটিস দেওয়া হয়, তাহলে ইআরও, এইআর কিংবা বিএলও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের সেই বিজ্ঞপ্তি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখছেন, 'আমাদের অনুরোধ প্রবীণ নাগরিকদের, বিশেষ করে ৬০ বছরের বেশি বয়সের কোনও ব্যক্তি, যাঁরা কোনও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তাঁদের কথা যেন একটু বিবেচনা করা হয়। আশা করি, এইসব ভোটেরদের শুনানি থেকে অব্যাতি দেওয়া হবে। যাতে অযথা কষ্ট না হয়।'
