সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ জুন অভূতপূর্ব সন্ধিক্ষণের সাক্ষী থাকতে চলেছে সিঙ্গাপুর। কিম জং উন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প, দুই বিশ্বের দুই অন্যতম শক্তিধর দেশের দুই রাষ্ট্রনায়কের বৈঠক হতে চলেছে সিঙ্গাপুরে। বৈঠক ঘিরে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল তা আপাতত দূর হল। নির্ধারিত সময়েই কিমের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার কিমের দূত হিসেবে হোয়াইট হাউস যান জেনারেল কিং ইয়ং চেল। কিমের লেখা একটি চিঠিও সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয় কিং ইয়ং চেলের। কিমের পাঠানো চিঠি পড়ার পরই সিদ্ধান্ত নেন সিঙ্গাপুরের বৈঠকে যোগ দেওয়ার। এর আগে নিজেই ওই বৈঠক বাতিল ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
[তাদের দেশের উপর সবসময়ই আক্রমণাত্মক মোদি সরকার, অভিযোগ পাকিস্তানের]
শুক্রবারের বৈঠকের পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন ১২ জুন নির্ধারিত সময়ে আলোচনা হবে কিমের সঙ্গে। তবে, এই বৈঠকেই কোরিয়ার বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আশা যাবে এমনটা মনে করছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না এই বৈঠকে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হবে, তবে এটা একটা প্রক্রিয়া, আর সিঙ্গাপুরেই তা শুরু হবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, তা ইতিবাচক হবে।’ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করা ছাড়াও কোরিয়ায় গৃহযুদ্ধ, সেদেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
[তিস্তার জল নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাত নয়, বিকল্পের খোঁজে বাংলাদেশ ]
কূটনৈতিকভাবে ট্রাম্প-কিম দুই মেরুর বাসিন্দা। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি দিয়েছিলেন কিম, এই ঘটনাকে নিজের বিদেশনীতির কৃতিত্ব হিসেবে দেখাতে চাইছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনও রাষ্ট্রনায়কের বৈঠক হচ্ছে। আর সেজন্য ‘নিউট্রাল ভেন্যু’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরকে। ঐতিহাসিক এই বৈঠক থেকে কূটনৈতিকভাবে আগামী দিনে বিশ্বশান্তির বার্তা উঠে আসতে পারে বলেও মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তবে, দুপক্ষ রাজি হওয়ার পরও বৈঠক নিয়ে চূড়ান্ত জটিলতার সৃষ্টি হয় চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বৈঠকের পর। ওই বৈঠকের পর কোরিয়ার একাধিক কার্যকলাপে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ট্রাম্প। ১২ জুনের বৈঠক হবে না বলেও জানিয়ে দেন। তখনও অবশ্য সুবোধ বালকের মত আলোচনার পক্ষেয় সায় দিয়েছিলেন কিম। তিনি বলেন, ট্রাম্প চাইলে তিনি বৈঠকে রাজি। অবশেষে শুক্রবার কোরিয়ার দূতের সঙ্গে বৈঠকের পর কিমের ডাকা সাড়া দিলেন ট্রাম্পও। জটিলতা মেটায় আপাতত বৈঠকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের। দুই প্রভাবশালী শাসকের বৈঠকে আদৌ কোনও সমাধান সূত্র বের হয় নাকি আরও জটিল হয় পরিস্থিতি, দেখতে মুখিয়ে কুটনীতিকরা।
The post ১২ জুনই কিমের সঙ্গে মোলাকাত, সম্ভাবনা উসকে দিলেন ট্রাম্প appeared first on Sangbad Pratidin.