সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারশো পারের লক্ষ্যপূরণ হয়নি। মেলেনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও। তবু জোটসঙ্গীদের সঙ্গে মিলে ফের সরকার গড়তে চলেছে বিজেপিই। টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর কুরশিতে বসবেন নরেন্দ্র মোদি। আর তাঁর এই সাফল্যে যুদ্ধের মাঝেও শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। 'বন্ধু'কে অভিনন্দন জানিয়ে লিখলেন, 'বাধাই হো'।
প্রায় দেড় মাস ধরে চলা অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হয়েছে ৪ জুন। ভারতের এই নির্বাচনের উপর নজর ছিল বিভিন্ন দেশের। মোদির জয়লাভের পর থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীও। বুধবার বন্ধুকে অভিনন্দন জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, "টানা তৃতীয়বার জয়লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করছি ভারত ও ইজরায়েলের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে। এই সম্পর্ক আগামিদিনে অন্যমাত্রায় পৌঁছবে। বাধাই হো।" এছাড়াও নমোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, মালদ্বীপের 'চিনপন্থী' প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোগবে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহও।
উল্লেখ্য, গত আট মাস ধরে গাজায় হামাসের সঙ্গে লড়াই করছে ইজরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যখন ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় হামাস জঙ্গিরা তখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ভারত। নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মোদি। এই আটমাসে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। গাজায় অভিযান নিয়ে ইজরায়েলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও নেতানিয়াহুর পাশ থেকে সরে আসেননি মোদি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোদি ফের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসায় ভারতের সমর্থন আগামিদিনে ইজরায়েলের পক্ষেই থাকবে।
বলে রাখা ভালো, গাজা যুদ্ধ আবহে ইহুদি দেশটিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ভারতীয়দের। ইজরায়েলে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় শ্রমিক। কিন্তু গত আট মাসে পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই বদলে গিয়েছে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে ফেলেছে ইজরায়েল। ফলে পেটে টান পড়েছে প্যালেস্তিনীয়দের। কিন্তু এতে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে ভারতীয় শ্রমিকদের। গত এপ্রিল ও মে মাসে ইহুদি দেশটিতে কাজ করতে গিয়েছেন ছয় হাজারের উপর ভারতীয়। চলতি বছরে আরও কয়েক হাজার ভারতীয় যাবেন সেদেশে।