জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা তিনি। বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে (Bagda Bypoll) নবাগতার উপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। বুধবার বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দেন মধুপর্ণা ঠাকুর। রাজনীতিতে সদ্য পা রাখলেও জয়ের বিশ্বাস আত্মবিশ্বাসী ঠাকুর পরিবারের কন্যা। জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা বলছেন মধুপর্ণা।
গতবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাগদায় বিধায়ক হন বিশ্বজিৎ দাস। পরে দলবদল করেন। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন। সে কারণে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাই বিধায়কশূন্য বাগদাতেও আগামী ১০ জুলাই ভোটাভুটি। ওই আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা। সাদা পাড়, নীল রংয়ের শাড়ি পরে এদিন বনগাঁর মহকুমা শাসকের দপ্তরে যান তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীরা তো ছিলেনই। মধুপর্ণার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি বলেন, "সিট তো আমরা জিতে বসেই আছি, এটা জাস্ট একটা ফর্মালিটি। লড়াইটা খুব কঠিন না। ১৩ তারিখে দিদির হাতে সিটটা তুলে দিতে পারব।"
[আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ‘বেনিয়ম’, বাতিল ইউজিসি-নেট, তদন্ত করবে সিবিআই]
'বড়মা'র নাতনি মধুপর্ণা প্রাণীবিদ্যায় স্নাতক। রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা ঠিকই। তবে রাজনীতি যে তাঁর রক্তে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সবুজ ঝড়ের মাঝেও বনগাঁর আসন অক্ষত রেখেছে বিজেপি। ঘাসফুলের দাপটেও সেখানে ফুটেছে পদ্ম। এই পরিস্থিতিতে বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচন তৃণমূল-বিজেপি উভয়পক্ষের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। জয় ছিনিয়ে আনতে মতুয়াগড় হিসাবে পরিচিত বাগদায় তাই ঠাকুরবাড়ির সদস্যকে প্রার্থী করা হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ঠাকুরবাড়ি তরুণ সদস্য জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। শেষ পর্যন্ত মানুষের সমর্থনের নিরিখে মধুপর্ণা জয়ের হাসি হাসতে পারেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।