সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্থানীয়দের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অভিযোগে বিপাকে পড়লেন রুশ দম্পতি। অভিযোগ, যে গাছটিকে স্থানীয়রা পবিত্র মেনে পুজো করেন, সেই গাছের উপরই নগ্ন ফটোশুট করেন তাঁরা। আর তার জেরেই ইন্দোনেশিয়া সরকার (Indonesian Govt) তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলেন।
এলিনা ফাজলিভা নামের রুশ ভ্লগার স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। ইনস্টাগ্রামে ভ্রমণের নানা ভিডিও পোস্ট করেন তাঁরা। এলিনার ইনস্টাগ্রাম (Instagram) ফলোয়ারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু সম্প্রতি বালিতে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয়দের ভাবাবেগে আঘাত করে বসেন তাঁরা। যার জেরে বালি থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। ইন্দোনেশিয়ান হলিডে আইল্যান্ডের আধিকারিকরা শুক্রবার জানান, তাবানান জেলার এক মন্দির চত্বরে ৭০০ বছরের পুরনো একটি বটগাছ রয়েছে। স্থানীয়রা তা পবিত্র মেনে সেখানে পুজোও করেন। কিন্তু সেই বট গাছের উপর বসেই নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন এলিনা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ছাড়াল ২০ হাজারের গণ্ডি, বাংলায় একদিনে মৃত ১]
অ্যান্ড্রে ফাজলিভাই নগ্ন স্ত্রীর ছবি তুলে তা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে দেন। যে ছবি ভাইরাল হতে বিশেষ সময় লাগেনি। ছবিটি নজর এড়ায়নি বালির বাসিন্দাদেরও। সাধারণত পাহাড়, বৃক্ষের মতো প্রাকৃতিক সম্পদকে পবিত্র বলেই বিশ্বাস করে থাকেন বালির হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। তাই মন্দিরের সামনে এমন ফটোশুট কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। বালি অভিভাসন বিভাগের প্রধান জামারুলির কথায়, ওই দম্পতির আচরণ স্থানীয়দের বিশ্বাসে আঘাত করেছে। সেই কারণেই তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে বালি থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অন্তত আগামী ৬ মাস আর ইন্দোনেশিয়ায় পা রাখতে পারবেন না ওই রুশ দম্পতি। এমনকী পবিত্র স্থলে ফটোশুট করে যে ‘পাপ’ করেছেন তাঁরা, স্থানীয়দের পরামর্শ মতো তার প্রায়শ্চিত্তও করতে হবে। তবে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন এলিনা ও অ্যান্ড্রে। তাঁরা জানান, বালিতে এমন অনেক পবিত্র স্থান রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রে তার উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি তাঁদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই ভুল করেছেন তাঁরা। এবার প্রায়শ্চিত্ত করেই দেশে ফিরতে হবে দম্পতিকে।