রাজা দাস, বালুরঘাট: ফের কাঠগড়ায় বাংলার নার্সিংহোম। এবার অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে এক প্রসূতির মূত্রথলি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্ত করে নার্সিংহোমকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করল জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Balurghat)। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে খুশি অভিযোগকারী।
ঘটনার সূত্রপাত গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই সময় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের হয় বালুরঘাট ত্রিধারা ক্লাব সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। বালুরঘাট শহরের একে গোপালন কলোনির বাসিন্দা রণজিৎ দাস জানিয়েছিলেন, স্ত্রীকে প্রসব ব্যথা নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভরতি করেছিলেন তিনি। কিন্ত হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক তাঁকে রেফার করেন অন্য নার্সিংহোমে। তিনিই ওই নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার করানোর পরামর্শও দেন।
[আরও পড়ুন: হাওড়ায় ফিরল ওড়িশায় দুর্ঘটনায় মৃত পর্যটকদের দেহ, চোখের জলে প্রিয়জনদের শেষ বিদায়]
জানা গিয়েছে, তাঁর পরামর্শ মেনে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নার্সিংহোমে স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করান রণজিৎ। জন্ম হয় এক শিশুর। কিন্ত এরপর ওই বধূ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে মালদহে ভরতি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক জানিয়ে দেন মহিলার অস্ত্রোপচার করবার সময় মূত্রথলি কাটা পরে গিয়েছে। এরপরই জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ভুল চিকিৎসার অভিযোগ দায়ের হতেই এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। অবশেষে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে মূত্রথলি কেটে যাবার বিষয় প্রমাণ হয়। এরপরই নার্সিংহোম কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে চার লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্তের পর শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে নার্সিংহোমকে। তা সত্ত্বেও ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যদিও এই ঘটনায় এখনও ওই নার্সিংহোমের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।