সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) রুখতে আর নয় ডিসইনফেকশন টানেল (Disinfectant tunnel)। একমাসের মধ্যে বন্ধ করতে হবে এই ধরনের টানেলের ব্যবহার। এই মর্মেই আজ কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ধরনের টানেলে অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার ও রাসায়নিক প্রয়োগে মানবদেহের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেবল শারীরিকই নয়, বলা হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির কথাও।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে কেন্দ্রকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ডিসইনফেকশন টানেলের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা জানিয়ে দ্রুত এদের ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। গুরসিমরণ সিংহ নারুলা নামের এক আইনের পড়ুয়ার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময়ই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই পড়ুয়া তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, মানুষকে জীবাণুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে জৈবিক জীবাণুনাশক স্প্রে বা ফিউমিগেশন করতে টানেলের ব্যবহার থেকে শুরু করে এর ইনস্টলেশন ও উৎপাদন সব বন্ধ করে দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: ‘এভাবে কেউ কথা বলে?’, CAA ইস্যুতে যোগীকেই তোপ নীতীশের! অস্বস্তিতে NDA]
আবেদনে বলা হয়, COVID-19 মোকাবিলার বাহানায় বহু স্যানিটাইজেশন ও ডিসইনফেকশনের মাধ্যম বাজারে আনা হয়েছে যারা করোনাভাইরাস আটকানোর মিথ্যা দাবি করে। এর মধ্যে রয়েছে ডিসইনফেকশন টানেলও। এর মাধ্যমে মানুষের শরীরে জীবাণুনাশক ছড়িয়ে দেওয়া হয় জীবাণুকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এর ফলে উলটে ক্ষতিই হয়।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এবং সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন এই ধরনের টানেলের ব্যবহার প্রসঙ্গে। এর ফলে মানুষের শারীরিক, ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়ে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে বেশ কিছুদিন ৫০ হাজারের নিচে থাকার আবার দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৫০ হাজারের গণ্ডি। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। যা চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে।