শেখর চন্দ্র, আসানসোল: সাদামাটা 'চাচি'ই নাকি ডাকাতির ষড়যন্ত্রী! ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত 'চাচি'কে বিহারের সমস্তিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়। ডাকাতির ষড়যন্ত্রের আগে আসানসোলের হীরাপুরে ৩ মাস ভাড়াবাড়িতে ছিল 'চাচি'। গ্রেপ্তারির ঘটনায় তাজ্জব বাড়ি মালিক।
আশা দেবী ওরফে 'চাচি', বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা। স্বামী, সন্তান নিয়ে সংসার তার। ডোমজুড়ে ডাকাতির প্রায় মাসতিনেক আগে আসানসোলে আসে। হীরাপুর থানা এলাকার মহিশীলা ৩ নম্বর কলোনির চাষিপাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত হাওড়ার ডোমজুড় ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত ওই মহিলা। চারদিকে জমি আর সবজি খেত। লোকালয় থেকে দূরে কার্যত পাণ্ডববর্জিত এলাকায় ওই বাড়িটি। গ্রেপ্তারির খবরে তাজ্জব ওই ভাড়াবাড়ির মালিক ঋষিকেশ সাহা। 'চাচি' ডাকাত সর্দার জানার পর আতঙ্কিত বাড়িমালিক।
[আরও পড়ুন: আম্বানিপুত্রের বিয়েতে গিয়েও রাজনৈতিক কর্মসূচি মমতার, বৈঠক পওয়ার-ঠাকরেদের সঙ্গে]
তিনি জানান, গত ৩ মাস ধরে ধৃত মহিলা ভাড়াবাড়িতে ছিল। ওই মহিলার সঙ্গে আরও কয়েকজনও ছিল। ৩ মাস তারা ভাড়া ছিল। পাথর লোডিং, আনলোডিংয়ের কাজ করতে এসেছে বলে জানিয়েছিল। একটা ট্রাক্টর কিনে এলাকায় চাষবাস করবে বলেও জানিয়েছিল তারা। প্রথমে অস্পষ্ট কালি মাখা আধার কার্ডের জেরক্স জমা দিয়েছিল আশাদেবী। অন্য জেরক্স চাওয়া হয়েছিল। দিচ্ছি, দেব করে আর দেয়নি। বাড়ি মালিক জানান, একজন বয়স্ক লোক এবং ওই মহিলা ভাড়াবাড়িতে ছিল। মাঝে মাঝে কয়েকজন যুবকও আসত।
ঋষিকেশ বাবু আরও বলেন, "অসুস্থতার কারণে চেন্নাই চলে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি হঠাৎ করেই ওরা ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছে। তখন থেকে ঘরে তালা। নতুন ভাড়াটিয়া আর কেউ আসেননি। আমারও সন্দেহ হয়েছিল পাণ্ডববর্জিত জায়গায় কেন ঘর ভাড়া নিছে ওরা? এই এলাকায় চাষবাস করে বাহাদুর নামে এক ব্যক্তি। তিনিই বলেছিলেন ওই মহিলা দুঃসম্পর্কের আত্মীয় হন। তাই বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম। এখন জানতে পারছি এই ঘটনা। আমি আতঙ্কিত।" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশাদেবী আসানসোলের মহিশীলা থেকে ৩টি পুরনো মোটর বাইক কিনেছিল। পরে ডোমজুড়ের ডাকাতিতে ওই বাইকগুলি কাজে লাগায়।