সুকুমার সরকার, ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর লাশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন দমকল কর্মীরা। শনিবার সকাল থেকেই কার্যত মৃত্যুপুরী হয়ে যাওয়া কারখানাটিতে মৃতদেহের সন্ধান শুরু করেছে উদ্ধারকারীরা।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়ছে করোনার প্রকোপ, উদ্বিগ্ন হাসিনা প্রশাসন]
ঢাকা দমকল বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, কারখানাটির ছ’তলার আগুন নেভানো হয়েছে। তবে ওই ফ্লোরের বিভিন্ন স্থানে কিছু ফায়ার পকেট রয়েছে। অর্থাৎ, বেশ কিছু জায়গায় এখনও আগুন রয়েছে। ফায়ার পকেটে আগুন নেভানোর পাশাপাশি আরও লাশ রয়েছে কি না, সেই তল্লাশি চালাচ্ছে দমকলের উদ্ধারকারী দল। এখনও পর্যন্ত তাঁরা কোনও লাশের সন্ধান পায়নি। এদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে জেলা প্রশাসন, দমকল বিভাগ, কলকারখানা পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ও গুরুতর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। ওই ঘটনায় এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৫ জনের। গুরুতর আহত অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্য আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় ‘সেজান জুস’ কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাততলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচুতলার একটি ফ্লোরে থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক সময়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভবনে। এ সময় কালো ধোঁয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। আগুন থেকে বাঁচতে শ্রমিকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে উঠে পড়েন। আবার কেউ কেউ প্রাণে বাঁচার জন্য ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন। ফলে অনেকেই গুরুতর আহত হন।
দেখুন ভিডিও: