সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি-র (ICC) কর্তাদের কাছে পুরো ব্যাপারটা গোপন করে গিয়েছিলেন। আর তাই দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে (Nasir Hossain) সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এর আগে ভারতীয় এক বুকির সঙ্গে যোগাযোগের কথা এবং স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় দু’বছরের জন্য শাকিব আল হাসানকে (Shakib Al Hasan) নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। তবে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় একবছরের শাস্তি স্থগিত করে আইসিসি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার মার্লন স্যামুয়েলস নিষিদ্ধ হওয়ার পর নাসিরের নিষেধাজ্ঞা সময়ের অপেক্ষা ছিল। কারণ, প্রায় একই অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন দুজন।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-১০ ক্রিকেট লিগে খেলার সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার নেন নাসির হোসেন।
[আরও পড়ুন: প্রখরের তেজে ছাড়খার ২৫ বছর পুরনো রেকর্ড, কী লিখে শুভেচ্ছা জানালেন যুবরাজ?]
তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে জানানো হয়েছিল, ২.৪.৩ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়ে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে পুরো ঘটনা আইসিসি-র কাছে গোপন করেছিলেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। আর তাই তাঁকে নির্বাসিত হতে হল।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাক্তন অলরাউন্ডারকে ২.৪.৪ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। কারণ তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলেও সেটা তিনি গোপন করে গিয়েছিলেন। কেন তিনি প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি-র কাছে ব্যাপারটা স্বীকার করেননি? সেই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি শাকিবের একদা সতীর্থ। নাসিরের বিরুদ্ধে ২.৪.৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয় যে, দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন বা কোন যুক্তি ছাড়াই তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেন। বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-২০ খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।