সুকুমার সরকার, ঢাকা: একটি স্বাধীন, সুসংহত ও মজবুত প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এমনই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ। রবিবার আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি দিবস উপলক্ষে পৃথক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ওই অঞ্চলের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, জাতীয় স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
[আরও পড়ুন: ১৪ বছর জেল খেটেও সংশোধন নেই, কারাগারমুক্ত হয়েই কুপিয়ে খুনের চেষ্টা বাংলাদেশি যুবকের]
রাষ্ট্রপতি হামিদ তাঁর বার্তায় বলেন, “প্যালেস্তিনীয়দের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে, বাংলাদেশ তাঁদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদানের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে আল কুদস আল-শরিফকে রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও মজবুত প্যালেস্তিনীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমাদের নীতিগত অবস্থানের বিষয়টি পুনরুল্লেখ করছি। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনা ও আমাদের সংবিধানের সাথে সংগতি রেখে, বাংলাদেশ সবসময় সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত মানুষকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার প্রথম ভাষণে, ১৯৭৪ সালে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে এবং ১৯৭৩ সালে চতুর্থ নাম সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ এই অবস্থানে অটল রয়েছে।”
একটি স্বাধীন প্যালেস্তিনীয় রাষ্ট্রের পক্ষে জোরাল সওয়াল করে এদিন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “আমরা ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেম-আল কুদস আল-শরিফকে রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও মজবুত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমাদের নীতিগত অবস্থানের বিষয়টি পুনরুল্লেখ করছি। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই এই অবস্থানে অটল রয়েছে। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণহত্যার যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতিই আমাদের ফিলিস্তিনিদের ওপর হওয়া অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রেরণা জুগিয়েছে। প্যালেস্তিনীয়দের ওপর বহু বছর ধরে অন্যায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এই সংকটের দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধ-সহ প্যালেস্তিনীয় জনগণের ওপর দখলদার বাহিনীর শক্তি প্রয়োগের জোরাল বিরোধিতা করছি আমরা। আমরা অবিলম্বে প্যালেস্তিনীয়দের বাড়িঘর ধ্বংস এবং দখলদার বাহিনীর অব্যহত আগ্রাসন ও অবৈধ স্থাপনা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দখলদার ইজরায়েলি বাহিনীর এই অব্যহত মানবাধিকারের লঙ্ঘনের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি।”