সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) নৌকাডুবির ভয়াবহ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১। অভিশপ্ত জলযানটির অনেক যাত্রীই এখনও নিখোঁজ। এই ঘটনায় বালুবাহী ট্রলারের চালক-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার চর ইসলামপুর থেকে স্থানীয় লোকজন তাদের পাকড়াও করে।
[আরও পড়ুন: ফেরা হল না দেশে, কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের জেরে এখনও আটকে ১৫ বাংলাদেশি]
শুক্রবার সন্ধে ছ’টা নাগাদ বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকার ঘাট থেকে যাত্রীবাহী একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল। তিতাস নদের বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইছকা বিলে বালিবাহী একটি ট্রলারের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সেই সময় যাত্রীবাহী নৌকাটির পিছনে আরও একটি বালিবাহী ট্রলার ছিল। সেটিও নৌকাটিতে সজোরে ধাক্কা মারে। আর তাতেই উলটে যায় যাত্রীবাহী নৌকাটি। নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। প্রথমে স্থানীয় লোকজনই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তারপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মহম্মদ আনিসুর রহমান সংবাদমাধ্যমে জানান, দুর্ঘটনার পর পালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ধৃতরা। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ধৃতদের মধ্যে জামির মিয়া (৩৫) হচ্ছে বালুবাহী ট্রলারের চালক। পাকড়াও করা হয়েছে তার সহযোগী মহম্মদ খোকন (২২) ও মহম্মদ রাসেলকে (১৮)। তারা সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ষোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
নৌকাডুবির কারণ অনুসন্ধান করতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ রুহুল আমীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। আর নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এখনও নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন।