সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hassan)। সেই খবর জানার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই শাকিবকে এহেন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। বেটউইনার অনলাইন জুয়া খেলার জন্য পরিচিত। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী জুয়াড়ি সংস্থার সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখার অনুমতি দেওয়া হয় না।
গত বুধবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে শাকিব নিজেই নতুন পার্টনারশিপের কথা জানিয়েছিলেন। তারপরেই বৈঠকে বসেছিল বিসিবি (BCB)। সেখানকার প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, এই চুক্তি সম্পর্কে বোর্ডকে (Bangladesh Cricket Board) কিছুই জানানো হয়নি শাকিবের তরফে। এই কাজের জবাব চেয়ে নোটিস পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নাজমুল বলেছেন, “অনুমতি চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না কারণ এই ধরনের কাজের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে না বোর্ডের পক্ষ থেকে। জুয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও কিছুতেই বোর্ড অনুমতি দেবে না।”
[আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে ইতিহাস, কমনওয়েলথে সোনাজয়ী সুধীরের প্রশংসায় মোদি]
তবে আদৌ শাকিব জুয়া সংস্থার (Betwinner) সঙ্গে চুক্তি করেছেন কিনা, সেই নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে বলে জানিয়েছেন নাজমুল। তবে কী করে শাকিব এই ধরনের কাজ করতে পারলেন, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই এই বিষয়ে শাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নাজমুল বলেছেন, “বোর্ডের অনেকেই মনে করছেন, শাকিব জুয়া সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেননি। তাই এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে গোটা ঘটনা জেনে নিতে হবে। বোর্ডের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, জুয়া সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না।” বেটউইনার একটি জুয়াড়ি সংস্থা হলেও সরাসরিভাবে তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি শাকিব। তাদের একটি শাখা সংস্থা বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি করেছেন তিনি। সেই কারণেই কিছু বাংলাদেশ ক্রিকেট কর্তাদের মনে হচ্ছে, জুয়াড়ি সংস্থার সঙ্গে জড়াননি শাকিব।
গোটা কেরিয়ারে বেশ কয়েকবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক। ২০১৯ সালে সবধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয় তাঁকে। সেই সময় ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও দুর্নীতিদমন শাখার কাছে সেই তথ্য গোপন করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে মাঠে ফিরে এসে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্টাম্পে লাথি মেরেছিলেন। সেই কারণেও ক্রিকেটপ্রেমীদের রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি।