সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনার ধাক্কায় বেসামাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। পরিস্থিতি আরও জটিল করে ইদে শিথিল বিধিনিষেধের মধ্যে দেশজুড়ে বিশাল জমায়েত ও করোনাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: ফের ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, মৃত কমপক্ষে ১৭ বাংলাদেশি নাগরিক]
প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার অর্থাৎ আজ ভোর ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব-সহ সমস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কঠিন হবে এবারের লকডাউন। অফিস-আদালত, পোশাক কলকারখানা-সহ রপ্তানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত লাগু থাকবে ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ বিধিনিষেধ। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য দেন। উল্লেখ্য, ইদ উপলক্ষে গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়। ওই কদিন চালু করা হয় সব ধরনের গণপরিবহণ। আর তার ফলে মানুষের অবাধ ঢাকা ত্যাগ ও কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সরকারের সব মহল থেকেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ইদের সময় অনেকেই কোনও সামাজিক দূরত্ব না মেনে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। কর্মস্থল ঢাকায় ফিরেছিলেন একইভাবে। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা দুশোতে ঠেকেছে। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগে মৃত্যুর সংখ্যা দিনে ১৪/১৫ জনে নেমে এসেছিল। এবার ইদ উপলক্ষে গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনে প্রায় ৮৩ লক্ষ মানুষ রাজধানী থেকে অন্য জায়গায় রওনা দেয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। রাজধানীর বাইরে যাওয়া সিমের হিসাব দিয়ে বুধবার ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি। আর এহেন পরিস্থিতিতে আগামীদিনে সংক্রমণ আরও ভয়াবহ আকার নেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।