সুকুমার সরকার, ঢাকা: মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। এবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৬তম অধিবেশনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অনিয়ন্ত্রিত করোনা সংক্রমণ, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ১০দিন]
আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে এক বছরের জন্য সহ-সভাপতি পদে থাকবে বাংলাদেশ। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে নির্বাচিত অন্যান্য সহ-সভাপতি দেশ হচ্ছে কুয়েত, লাওস ও ফিলিপিন্স। মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শহিদ ৭৬তম সাধারণ সভার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এক বছর মেয়াদের এ দায়িত্ব চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে। স্থানীয় সময় মতে ৭ জুন নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ সভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের নাম পাশ হয়ে যায়। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, “বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতার ধারক ও বাহক। বর্তমান বিশ্বের জটিল চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাসী বাংলাদেশ। উন্নয়ন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকারের বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে বাংলাদেশ তার নীতিগত ও গঠনমূলক অবস্থান বজায় রেখেছে। বহুপক্ষীয় ফোরামে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের ওপর যে আস্থা রাখে, এ নির্বাচন তারই বহিঃপ্রকাশ।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৯৩। রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে পূর্ণাঙ্গ বহুপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সুচিন্তিত মতামত প্রদান ও নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে বিশ্ব সংস্থাটির প্রতিনিধিত্বশীল অঙ্গ হিসেবে সাধারণ সভা কাজ করে থাকে। প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণ সভার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৬তম অধিবেশন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ, বিশ্ব এখন কোভিড-১৯ অতিমারী ও তার বহুমাত্রিক প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। ফলে এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সহ-সভাপতি পদে বসা দেশের জন্য অত্যন্ত বড় গর্ব ও প্রচণ্ড দায়িত্বের বিষয়।