সুকুমার সরকার, ঢাকা: সংক্রমণ বাড়লেও ইদ উপলক্ষে করোনাবিধি খানিকটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এতেই রীতিমতো অশনিসংকেত দেখছে দেশের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আরও ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: কলকাতা, ঢাকায় JMB জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর তৎপরতা, জঙ্গিডেরা ঘেরাও করে অভিযান বাংলাদেশে]
বুধবার রাতে এক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহম্মদ সহিদুল্লার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এখনই বিধিনিষেধ শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর ফলে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। বিধিনিষেধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এর অংশ হিসেবে কোরবানির পশুর হাট বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেছে পরামর্শক কমিটি। ডিজিটাল হাট পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে তারা। আর বিধিনিষেধ শিথিল করে সীমিত পরিসরে হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছিল, আগামী ২১ জুলাই ইদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বা ১৫ জুলাই থেকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যান চলাচল শুরু করা হবে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে পরিষেবা হবে। ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোনও টিকিট বিক্রি হবে না। সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকতে পারে শপিংমল ও দোকানপাট। ইদ উপলক্ষে শিথিল শাটডাউনের আটদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহণ। তবে এই সময়ে সরকারি অফিস ভারচুয়ালি খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস। প্রধান তথ্য অফিসার জানিয়েছেন, করোনা মহামারির বিস্তার রুখতে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে। আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ইদ উল আজহা।