সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৬ দিন বাড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা। ফলে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত।
[আরও পড়ুন: বড়সড় স্বস্তি, দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৬০ হাজারে, কমছে মৃত্যুও]
বিদেশমন্ত্রকের এক সংবাদ সম্মেলনে সীমান্ত বন্ধের কথা জানান বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ইদের পর সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। তখন মৃত্যুহার কমলেও ফের তা বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে টিকা সংকট। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বরাত অনুযায়ী ভ্যাকসিন না আসায় একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লক্ষ ডোজ। যদিও বরাত দেওয়া হয়েছিল তিন কোটি ডোজ টিকার। একই প্রতিষ্ঠানে তৈরি একই টিকার আরও ৩৩ লক্ষ ডোজ ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চিন সরকারের পক্ষ থেকে দু’দফায় উপহার পাওয়া গিয়েছে সিনোফার্মের ১১ লক্ষ ডোজ টিকা। এ পর্যন্ত দেশে দেওয়া হয়েছে কোটির উপর ডোজ।”
উল্লেখ্য, ভারতে করোনার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার জন্য ২৬ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সকল ধরনের স্থল-সীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। এরপর পর্যায়ক্রমে বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। স্থলসীমান্ত বন্ধের সময়কালে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে যাঁদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম, তাঁদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।ফলে বাণিজ্যে তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।