সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভোটগ্রহণের মতোই কড়া আচরণবিধি মেনে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বাংলাদেশে। নির্দিষ্ট ‘টিকাদান কার্ড’ থাকলে তবেই প্রতিষেধক পাবেন আবেদনকারীরা। এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
[আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচনে জয়ী ঘোষণার পর প্রার্থী খুন বাংলাদেশে, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র এলাকা]
জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেমন নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার থাকে, তেমনই টিকাদান কেন্দ্রগুলিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এবং তাঁদের সঙ্গে সরকারের দেওয়া ‘টিকাদান কার্ড’ থাকতে হবে। করোনার টিকাকেন্দ্র হবে ইউনিয়ন পরিষদে, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, জেলা বা সদর হাসপাতালে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, বিশেষায়িত হাসপাতালে, পুলিশ হাসপাতালে, বিজিবি হাসপাতালে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং বক্ষব্যধি হাসপাতালে। স্বাস্থ্যদপ্তরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির ডিরেক্টর মহম্মদ শামসুল হক স্থানীয় সংবাদমধ্যমে জানিয়েছেন, করোনার টিকা ১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া গর্ভবতী মহিলাদেরও টিকা দেওয়া হবে না। টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তবেই টিকাগ্রহীতা ‘কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ড’ পাবেন। কার্ডে ব্যক্তির নাম, বয়স, জন্মতারিখ, মা-বাবার নাম, ঠিকানার পাশাপাশি নিবন্ধন নম্বর ও নিবন্ধনের তারিখ থাকবে। থাকবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। টিকা নেওয়ার দিন কার্ডটি সঙ্গে করে কেন্দ্রে আসতে হবে। টিকা দেওয়ার তারিখ ও টিকাকেন্দ্রের নাম গ্রহীতাকে মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে যে শর্তসাপেক্ষে করোনা ভ্যাকসিন আমদানি ও প্রয়োগ করতে পারবে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলি। তবে এর আগে টিকা আমদানি ও তার প্রয়োগ কীভাবে হবে, তা নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করবে সরকার। সরকারিভাবে টিকা প্রদান শুরু করার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করতে পারবে। সেখানে, কোন হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে টিকা দেওয়া যাবে তা বলা থাকবে। এছাড়া, তারা কীভাবে ভ্যাকসিন দেবে, কীভাবে হিসাব রাখবে, কত দামে দেবে, এ বিষয়গুলিও সরকার ঠিক করে দেবে। এ ছাড়া করোনা টিকা রাখার স্টোরেজের নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ বা আনসার। টিকা যেখানে রাখা হবে, সেখানে ফ্রিজ যেন সঠিকভাবে চালু থাকে, বিদ্যুৎ যেন ঠিকমতো থাকে, সেদিকেও নজর রাখা হবে।