সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের বাড়ির সদস্যদের মাংস কম দেওয়ার অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে ঘিরে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ, কনের বাড়ির সদস্যদের মারে গুরুতর জখম হন বরের বাবা। বাড়ি ফেরার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের উত্তরের জনপদ জেলা বগুড়ার ধুনটে এলাকায়। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন আরও ১৫ জন। এদিকে বরের বাবার মৃত্যুর ঘটনায় কনেপক্ষের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
চান্দারপাড়া মহল্লার আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে নুর মহম্মদের ছেলে আলির বিয়ে হয় দু’মাস আগে। শুক্রবার বরপক্ষের তরফে কনের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কনে নিয়ে যাওয়ার দিন ধার্য করা হয়। সেই অনুযায়ী দুপুরে কনের বাড়িতে আসেন বর-সহ ১৫০ বরযাত্রী। বেলা ৩টে পার হলেও বরযাত্রীদের খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল না বলে অভিযোদ। তিনটের পর যখন খাবার দেওয়া হয় তখন বরযাত্রীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের কম মাংস দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: তিন নয়, এবার ৫ জেলায় যেতে পারবে বাইক ট্যাক্সি, ব্যবহার করতে হবে হলুদ নম্বর প্লেট]
মাংসের পরিমান কম দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কনেপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, বরপক্ষের লোকজন চেয়্যার ভাংচুর শুরু করে। এমনকী, কনেপক্ষের উপর হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। হামলায় কনের বাবা নান্নু সরকার, চাচা ঠান্ডু সরকার, বোন লবনীসহ ১৫ জন জখম হন। জখমদের মধ্যে ২ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এসময় গ্রামবাসীরা কনেপক্ষকে সমর্থন করে বরপক্ষের লোকজনকে ধাওয়া করে। এরপরই তাঁরা কনে রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে কথা কাটাকাটির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বরের বাবা নূর মহম্মদ। পথেই তাঁর মৃত্য়ু হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় কনে পক্ষের কয়েকজনকে আটক করেছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাড়িতে ওঠার সময় বরের বাবা কনের বাবার কাছে মাংস কম পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেখান থেকেই কথা কাটাকাটি পরে হাতাহাতি শুরু হয়।