সুকুমার সরকার, ঢাকা: পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদী ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানি! তার মোবাইল থেকে বেশ কয়েকটি পর্ন ভিডিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অপরাধ স্বীকার করেছে ওই মৌলবাদী ধর্মগুরু।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে মোদি বিরোধী হেফাজত নেতা মামুনুল, প্রকাশ্যে পাহাড়প্রমাণ যৌন কেচ্ছা]
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শুভাশীষ ধর জানান, শুক্রবার রফিকুল ইসলাম মাদানিকে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন নাহারের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে সে। গাছা থানার পুলিশ আধিকারিক ইসমাইল হোসেন জানান, মাদানিকে গত ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাব। সেই সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফোনগুলি থেকে বেশ কিছু বিদেশি পর্ন ভিডিও পাওয়া যায়। পরদিন তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে আদালত রফিকুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। পুলিশ আধিকারিক হোসেন আরও জানান, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সে আদালতে এসব অভিযোগ স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ধর্মের নামে মানুষকে সরকারএর বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে একাধিক মৌলবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে ভাষণ দিয়েছিল রফিকুল। ওই ঘটনায় ৭ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ রয়েছে।