সুকুমার সরকার, ঢাকা: আর মাত্র কয়েকদিন। আগামী ৭ অক্টোবর, রবিবার বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। ভোট আবহেও দেশেও জারি রয়েছে আগুন সন্ত্রাস। এই প্রেক্ষিতে, ভোট প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে দেশে কিছুটা জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে তারা। আসন্ন নির্বাচনে নারী-পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলে যাতে স্বেচ্ছায়, সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তীতে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।
জানা গিয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক হিংসা থেকে নারী ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে মহিলা পরিষদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়ে এ দাবি জানিয়েছেন পরিষদের সদস্যরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নারীসমাজ দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রামী ভূমিকা রেখে আসছে। অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময়ে এবং নির্বাচনের পরে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ অনেক সময় রাজনৈতিক হিংসার শিকার হন।
[আরও পড়ুন: বিএনপি-র ভোট বয়কটের বিরোধিতা, হাঁটুর ব্যথা নিয়েই প্রচারে ছুটছেন মাশরফি]
এদিকে এই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে নৌবাহিনীও। বুধবার থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা মাঠে থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে মোতায়েন থাকবেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে উপকূলীয় এলাকার ৬টি জেলার ১১টি আসনে মোতায়েন করা হয়েছে। সংসদীয় আসন সমূহ হল- ভোলা ১, ২, ৩ ও ৪, কক্সবাজার ২ ও ৪, চট্টগ্রাম ৩, নোয়াখালী ৬, বরগুনা ১ ও ২ এবং বাগেরহাট-৩।
বাংলাদেশ (Bangladesh) নৌবাহিনীর তিন হাজারের বেশি জওয়ান এবং ৬টি যুদ্ধজাহাজ ১৯টি উপজেলায় ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। অন্যদিকে, ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে কোনও ধরনের জঙ্গি হামলার ঝুঁকি দেখছেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহম্মদ আসাদুজ্জামান।