সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবার জাল ফেলেই উঠল ১৭০ মন ইলিশ (Hilsa Fish)। তা অবশ্য বাজার পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। তার আগেই চড়া দামে বিক্রি হয়ে গেল। রুপোলি শস্য বিক্রি করে ৫০ লক্ষ টাকা পেলেন ট্রলারের মালিক। আর উপহার হিসেবে জেলে পেলেন সোনার চেন।
বর্ষা এলেই ইলিশের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকে বাঙালি। এই মরশুমের অপেক্ষায় থাকেন জেলেরাও। নৌকা নিয়ে পৌঁছে যান মোহনায়। কোথায় মিলবে রুপোলি মাছ, তার খোঁজ চলতে থাকে। তবে চলতি বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পদ্মা-মেঘনা বা দক্ষিণের সাগরে সব ধরনের মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর মাছের খোঁজে সাগরে পাড়ি দেয় অনেক নৌকা, ট্রলার।
[আরও পড়ুন: Bangladesh: দিন শেষ ইয়াবার! এবার মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে ভয়ংকর মাদক ‘আইস’]
১৭ আগস্ট বরিশাল বিভাগের বরগুণা জেলার পাথরঘাটা ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে ‘এফ বি আল মাদিনা’ ট্রলার। ট্রলারের মালিক এনামুল হোসেইন। তাঁর অনুমতি নিয়েই ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন জেলেরা। ১৯ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত নানা জায়গায় জাল পাতা হয়। কিন্তু তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। তার পরই লাগে ‘বাম্পার লটারি’। চট্টগ্রামের অদূরে মৌখালির কাছে সাগরের জল দেখেই সন্দেহ হয় ইমরানের। ট্রলার দাঁড় করানোর নির্দেশ দেন। অনেকটা জায়গা জুড়ে জাল ফেলা হয়। পোড়খাওয়া চোখে ভুল দেখেননি ইমরান। জেলেরা সকালেই তা টের পান। জাল টানতেই দেখতে পান মনখানেক ইলিশ। খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন ট্রলারের প্রত্যেকে।
রুপোলি শস্যের এই খবর পেতেই খুশিতে আত্মহারা হন ট্রলারের মালিক এনামুল হোসেইন। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবর। এনামুল ঠিক করেন সোনার চেন হিসেবে ইমরানকে উপহার দেবেন। নিজে স্যাঁকরার দোকানে গিয়ে ১ ভরি সোনার হার কেনেন। পাড়ে আসতেই ইমরানের হাতে তা তুলে দেন। আর যে ১৭০ মন ইলিশ ইমরান ও তাঁর দল তুলে এনেছিলেন, তা বিক্রি হয় ৫০ লক্ষ টাকায়। বেশিরভাগ ইলিশই ১ কেজির উপরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিছু মাছের ওজন নাকি দুই থেকে আড়াই কেজিও ছিল।