সুকুমার সরকার, ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশেক সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভোরে নমাজ পড়ার পর হঠাৎ শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। পরামর্শ দেন, দ্রুত অ্যাঞ্জিওগ্রাম করার। সূত্রের খবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই ওবায়দুল কাদেরের হার্ট অ্যাটাক হয়। ওই হাসপাতালে উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কনককান্তি বড়ুয়া জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টা না কাটলে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
আর কোনও রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হবে না, ঘোষণা বাংলাদেশের
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ ওবায়দুল কাদের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে হাসপাতালের সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে দেখা যায়, তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক। একটিতে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কার্ডিওলজির প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার হারিসুল হক বলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, তিনি শঙ্কামুক্ত নন। হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার সৈয়দ আলি আহসান বলেন, তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর হার্টের তিনটি ব্লকের মধ্যে একটি ওপেন করা হয়েছে। বিকেল নাগাদ তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও, সংকটমুক্ত নন তিনি। ৭২ ঘণ্টা না কাটলে কিছুই বলা যাবে না। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে চিরপ্রস্থান বইপ্রেমী পলান সরকারের
ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় তমাল জানিয়েছিলেন, তিনি সংকটমুক্ত না হওয়ায় আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলের মধ্যে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে। আওয়ামি লিগ সাধারণ সম্পাদকের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে হাসপাতালে দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। তবে সন্ধের পর জানা যায়, তাঁর অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক যে তাঁকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা। ফলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকের দল রাতে পৌঁছচ্ছেন ঢাকায়। তাঁরা কাদেরের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করবেন। এই খবর পেয়ে আরও উদ্বিগ্ন দলের কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের সর্বময় নেত্রী শেখ হাসিনা নিজে তাঁর খোঁজখবর নিচ্ছেন। ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত আরোগ্য কামনায় হাসপাতাল চত্বরেই দলের কর্মী, সমর্থকরা প্রার্থনা শুরু করেছেন।