shono
Advertisement
Bangladesh MP

আনোয়ারুল খুনে অভিযুক্ত সিয়াম আটক নেপালে! কাঠমান্ডু গেলেন বাংলাদেশের তদন্তকারীরা

এখনও অধরা মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 12:14 PM Jun 01, 2024Updated: 12:16 PM Jun 01, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। হত্যাকারীদের মধ্যে উঠে আসে মহম্মদ সিয়াম হোসেনের নাম। আনোয়ারুলকে খুন করার পর নেপালে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার নেপাল পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে কাঠমান্ডুর একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। এবার সিয়ামকে ধরতে নেপাল গেলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ হারুন অর রশিদ।  

এদিকে, সিয়ামকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এর মধ্যেই বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ শুরু হয়েছে নেপালের সঙ্গে। আজ, শনিবার সকালে নেপালের উদ্দেশে তদন্তকারী দল নিয়ে রওনা দেন হারুন। এবিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা নেপালে সিয়ামের আটকের বিষয়টি সরকারিভাবে জানতে পেরেছেন। তাকে নেপাল পুলিশ আটক করেছে। এই সিয়ামই আনোয়ারুলের অন্যতম ঘাতক। পাশাপাশি সাংসদের দেহ লোপাট করাতেও জড়িত রয়েছে সে। জানা গিয়েছে, সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিনের সহকারী হিসেবে কাজ করত সিয়াম বলেই খবর। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বন্ধ হয়ে গেল ‘অবৈধ’ শ্রমিক বাজার! গ্রেপ্তার বাংলাদেশি-সহ ৬৪৬

নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ঢাকা থেকে ৩ জন ও কলকাতা থেকে ১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। অভিযুক্ত সিয়ামের খোঁজে নেপালের সঙ্গে কলকাতা পুলিশও যোগাযোগ রাখছে। তবে এখনও অধরা আখতারুজ্জামান। এই মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত শিমুল ভূঁইয়া ও তরুণী শিলাস্তা রহমান-সহ তিনজন ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কলকাতা পুলিশ মামলার তদন্ত করছে।

বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের সাংসদের বাল্যবন্ধু হলেন আখতারুজ্জামান শাহিন। তিনি আমেরিকার নাগরিক। নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটটি গত ২০১৮ সালে ভাড়া নেন আখতারুজ্জামান। সেখানেই সম্ভবত খুন করা হয় সাংসদকে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের পরই দেশ ছাড়েন আখতারুজ্জামান। তাঁর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। সম্ভবত প্রথমে কলকাতা থেকে নেপালে যান। সেখান থেকে পালিয়ে আখতারুজ্জামান দুবাই কিংবা আমেরিকাতেও গা ঢাকা দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

কয়েকদিন আগেই, তল্লাশি চালিয়ে নিউটাউনে আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের টুকরো করা মাংস ও চুল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। একেকটি মাংসের টুকরো ছিল ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম। পেশায় কসাই আন্দাজে মাংস কেটে তার সঙ্গে থাকা ছোট ওজনযন্ত্রে কয়েকটি মাংসের টুকরো ওজন করে দেখেও নিয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। মাংসের গায়ে মাখানো ছিল হলুদ। এবার চলছে রক্তের চিহ্নের সন্ধান। দেহটি কেটে টুকরো টুকরো করার পর বাথরুমে ধুয়ে ফেলা রক্ত নিকাশি পাইপ দিয়ে গিয়েছিল। তাই রক্তের চিহ্ন পেতে বুধবার নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের নিকাশি পাইপ খুলে পুলিশের সঙ্গে সন্ধান চালাচ্ছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ওই দেহাংশ সাংসদের কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত হতে সম্ভবত ডিএনএ টেস্ট করা হতে পারে। কলকাতা পুলিশ ডাকলে ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতায় আসতে পারেন সাংসদকন্যা মুমতারিন ফিরদৌস ডোরিন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সিয়ামকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এর মধ্যেই বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ শুরু হয়েছে নেপালের সঙ্গে।
  • বৃহস্পতিবার নেপাল পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে কাঠমান্ডুর একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
  • সিয়ামকে ধরতে নেপাল গেলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ হারুন অর রশিদ।  
Advertisement