সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রান্ত সংখ্যালঘু ধর্মস্থান। খুলনায় বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দির ( Hindu Temple) এবং হিন্দুদের অধীনে থাকা কয়েকটি দোকানে হামলা চলে বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। শনিবার বিকেলের ঘটনার জেরে থমথমে খুলনার শিয়ালি গ্রাম। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে সরব গ্রামবাসীরা। তবে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় কিছুটা আশ্বস্ত তাঁরা।
ঘটনা শনিবার বিকেলের। খুলনার (Khulna) রূপসা উপজেলার শিয়ালি গ্রাম। অভিযোগ, সেখানে আচমকাই হামলা চালায় জনা কয়েক দুষ্কৃতী। তাদের মূল টার্গেট ছিল গ্রামের হিন্দু মন্দিরগুলি। সেখানকার দেবদেবীর মূর্তি ভাঙা হয়েছে বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি হিন্দুদের দোকানেও চলে ভাঙচুর। শনিবার রাতেই গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা সর্দার মোশারফ হোসেন । তিনি জানিয়েছেন, তদন্তে নেমেই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে এলাকার পরিস্থিতি শান্তই আছে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে সাজা দেওয়া হবে, আশ্বাস Bangladesh-এর আইনমন্ত্রীর]
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। ওই দিন সন্ধেবেলা মসজিদে (Mosque) নমাজ পড়া নিয়ে সমস্যা শুরু হয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। ওইদিনই হিন্দু ও মুসলিম – দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে পুলিশ আধিকারিকরা তা মিটিয়ে ফেলেন বলে জানানো হয়েছে থানার তরফে। কিন্তু তার পরেরদিনই হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে আগেরদিনের অশান্তির কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ধৃতরা কারা, কী তাদের পরিচয় – সেসব নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে রূপসা উপজেলার পুলিশ। বাড়তি অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী।