সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশে গণতন্ত্র নেই। শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনেই নাকি কাজ করছে প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা। ভোটের নামে শুধুমাত্র প্রহসনই হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ বাংলাদেশের বিরোধি দলগুলির। এনিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও সমালোচিত হয়েছে হাসিনা সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন সদরের আওয়ামি লিগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে লিগের সভাপতি তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এই বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। হাসিনা বলেন, “আওয়ামি লিগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আগামীতেও নির্বাচন আসবে। নৌকায় ভোট দিলেই দেশের উন্নয়ন হয়- এটা এখন সর্বস্বীকৃত। আগামীতেও একমাত্র নৌকা চিহ্নের সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হবে। আপনারা প্রতিজ্ঞা করুন দুই হাত তুলে যে, আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন।”
[আরও পড়ুন: সাফল্য বাংলাদেশের, ধৃত আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের অপরাধী]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সাধারণ নির্বাচনে লড়তে পারবেন না খালেদা জিয়া। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ভোটের ময়দানে নামতে পারবেন না বিএনপি নেত্রী বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইমন্ত্রী আনিসুল হক। ভোটের ময়দানে নামতে পারাবেন না খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়াও।
এদিকে, নির্বাচন বয়কট করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান বিরোধি দল বিএনপি। তারা তদারকি সরকারের (Caretaker Govt.) অধীনে নির্বাচন দাবিতে অনড়। কিন্তু এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন হাসিনা। পালটা জাতীয় সংসদে আওয়ামি লিগের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে এলে খুশি হব। না এলে আমরা কাঁদব তা হবে না। আমাদের শাসনতন্ত্রে কোথাও লেখা নেই কোনও একটি দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন হল অংশগ্রহণমূলক। অনেক দল আছে, তারা অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”