সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, ভারত-সহ একাধিক দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়। ভারত সফরের আগে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Seikh Hasina)। একইসঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটলে, সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করলেই কঠোর পদক্ষেপ করে হাসিনা সরকার।
আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার ভারত সফরে আসছেন শেখ হাসিনা। তার আগে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দুরা বাংলাদেশেরই নাগরিক। সে দেশে প্রধানমন্ত্রীর অধিকার যতটা ততটাই অধিকার রয়েছে হিন্দুদেরও।
[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]
গত বছর দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। নষ্ট করা হয় প্রতিমা। এমনকী, কিছুদিন আগে হিন্দু নাগরিকদের উপর অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছিল। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দোকান-বাড়ি। এ প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, “আমরা যবে থেকে ক্ষমতায় রয়েছি, তখন থেকে আমরা সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণে জোর দিয়েছি। আমি সবসময় বলে এসেছি, ওঁরা আমাদের দেশেরই নাগরিক। এ দেশ তাঁদেরও। কিন্তু কখনও কখনও কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে সেক্ষেত্রেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই ধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।”
সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “চরমপন্থা মাথাচাড়া দেওয়ার জন্য বহুলাংশে দায়ী সোশ্যাল মিডিয়া। তীব্র আকার ধারণ করছে চরমপন্থা।” তিনি আরও বলেন, ”শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও সংখ্যালঘুদের অত্যাচারিত হতে হয়। তবে দুই দেশই যথেষ্ট উদার। আর আপনারা তো জানেনই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ। সেখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর বাস। প্রত্যেকে শান্তিতে একসঙ্গে বাস করে। দু-একটা এধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।” রাজনৈতিক মহলের মতে, হাসিনার সাক্ষাৎকারে যেভাবে ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা উঠে এসেছে, তা নিঃসন্দেহে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।