সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় মোদি সরকারের শপথগ্রহণের সময় ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ফের নয়াদিল্লিতে পা রাখলেন তিনি। আগামী জুলাই মাসে হাসিনার চিন সফর, তার আগে এই দিল্লি সফর কূটনৈতিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চিন সফরের আগে ভারতকে আশ্বস্ত করতেই এই সফর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বিশেষ বিমান। সেখানে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র কীর্তি বর্ধন সিং। গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী ডান্ডিয়া নৃত্যেরও আয়োজন করা হয় বিমানবন্দরে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী মাসে চিন যাওয়ার আগে হাসিনার এই ঝটিকা সফরে আগামী শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর অন্তত ১৪টি চুক্তি ও মউ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে ১০টির বেশি চুক্তি ও মউ স্বাক্ষর হতে পারে। এর মধ্যে অন্তত চারটির মেয়াদ শেষে পুনর্নবীকরণ হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে এই সফরের পিছনে আরও একটি দিক দেখছে বিশেষজ্ঞমহল। ভারত সফর শেষে ৯ থেকে ১২ জুলাই চিন সফর রয়েছে শেখ হাসিনার। সেই সফরের আগে ভারত সফর প্রসঙ্গে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, চিন সফরে গেলেও ভারতকে আশ্বস্ত করে যেতে চাইছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতকে টপকে বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য স্থাপনে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর কমিউনিস্ট দেশ চিন। জিনপিং প্রশাসনের লক্ষ্য পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকে নিজেদের আয়ত্বে আনতে পারলে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি চিনের কাছে আরও সহজ হয়ে উঠবে। ভারতও চায় না দীর্ঘদিনের মিত্র বাংলাদেশ চিন ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠুক। এই পরিস্থিতিতেই হাসিনার ভারত সফর আসলে এই বার্তা যে চিনে গেলেও দুই দেশের বন্ধুত্বে কোনও চিড় ধরবে না।
[আরও পড়ুন: জেলেই গুরুতর অসুস্থ আশারাম বাপু, মাঝরাতে ভর্তি করা হল AIIMS হাসপাতালে]
এদিকে জানা গিয়েছে, সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পরেরদিন শনিবার সকালে হাসিনাকে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এর পর হাসিনা দিল্লির রাজঘাটের মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। ভিজিটর্স বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।