সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠালে বিপদ বাড়বে বাংলাদেশের। এমনটাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। এর ফলে অর্থনৈতিক চাপের সঙ্গে বেড়েছে মৌলবাদী শক্তির সক্রিয়তা।
সোমবার চার দিনব্যাপী ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ২০২২ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন, “আমরা শান্তি ও জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। রোহিঙ্গারা অর্থনৈতিক, সামাজিক, নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাদের দ্রুত নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত না পাঠাতে পারলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। শান্তিরক্ষার জন্য আমরা মায়ানমারকে অনুরোধ করছি রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে। বর্তমান বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ইস্যু। বাংলাদেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করতে চায়।”
[আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ হাসিনার, শীঘ্রই নদী কমিশনের পরবর্তী বৈঠক]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভারচুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে শুরু হয় এই সেমিনার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে সেমিনারের এবারের থিম হলো ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’।
এদিকে, মায়ানমারের ফের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকেও প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। একাধিক গোলা বাংলাদেশের জমিতেও আছড়ে পড়েছে। ঢাকা এনিয়ে কমপক্ষে চারবার প্রতিবাদও জানিয়েছে মায়ানমারের কাছে। এই লড়াইয়ের জেরে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। অনুপ্রবেশের জন্য ঘুমধুম তমব্রু সীমান্ত এলাকায় বেশকিছু রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। সুযোগ পেলেই অনুপ্রবেশ করতে পারে তারা।