সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী ভারত (India)। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উলটেদিক থেকে আগত হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা দিয়ে একটি মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে যাত্রীবোঝাই করমণ্ডল এক্সপ্রসের (Coromandel Express) ১৮ টি বগি। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬০-এর বেশি। জখম হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে খবর। প্রতিবেশী দেশের এত বড় দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina)। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘‘ওড়িশায় একটি মালবাহী ও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে শতশত মানুষ হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।”
শুক্রবার সন্ধের পর এই দুর্ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর আতঙ্কে কাঁটা প্রায় গোটা দেশই। দক্ষিণ ভারতে (South India) চিকিৎসা করাতে যাওয়ার জন্য এই করমণ্ডল এক্সপ্রেসই ভরসা বেশিরভাগ মানুষের। আর সেই ভরসার ট্রেনই বিভীষিকা হয়ে নামল তাঁদের কাছে। জানা যাচ্ছে, মৃতদের অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। আহত বহু। দুর্ঘটনাস্থল তো বটেই, আশপাশের হাসপাতালেও চিকিৎসার জন্য ঠাঁই হচ্ছে না। পাঠাতে হচ্ছে দূরের হাসপাতালগুলিতে।
[আরও পড়ুন: ‘ট্রেনে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না, তাই ভয়াবহ দুর্ঘটনা’, বিস্ফোরক মমতা]
ভাল চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশবাসীর (Bangladeshi) অনেকেরই গন্তব্য কলকাতা এবং দক্ষিণ ভারত। তাঁদেরও কয়েকজন সফর করছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার। দুর্ঘটনায় জখম বাংলাদেশিদের তথ্য জানতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চালু করেছে হটলাইন। তার নম্বর +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩। এখানে হোয়াটসঅ্যাপ করেও খোঁজ মিলবে।