সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা টিকার (Corona vaccine) সংকট কাটতে চলেছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। শনিবার রাতেই চিন (China)থেকে কেনা সিনোভ্যাকের ২০ লক্ষ ডোজ এসে পৌঁছেছে ঢাকায়। বেজিং থেকে দু’টি বিমানে করে শনিবার রাতে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আনা হয় সিনোফার্মের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনগুলি চিনা সংস্থা থেকে কিনছে হাসিনা প্রশাসন। প্রথম দফার ২০ লক্ষ টিকা এসেছিল জুলাইয়ের প্রথমে। এবার এল আরও ২০ লক্ষ। চিনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আগস্টে আরও টিকা পাঠানো হবে। বাংলাদেশকে প্রয়োজনমতো করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চিন।
মহামারী করোনার (Corona virus) সংকট কাটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি করছে বাংলাদেশ। প্রথমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকেই ভ্যাকসিন চেয়ে পাঠায় হাসিনা সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই টিকা দিয়েই দেশে গণটিকাকরণ শুরু হয়। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় মাঝে টিকা রপ্তানি বন্ধ ছিল সেরামের তরফে। চলতি মাসে ফের ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হয়েছে। ভারত ছাড়াও চিন, রাশিয়া থেকেও টিকা কিনছে বাংলাদেশ। এদিকে, WHO’র আন্তর্জাতিক টিকাকরণ প্রকল্প ‘কোভ্যাক্স’-এর আওতায় বাংলাদেশও বেশ কিছু টিকা পাবে আমেরিকার ও অন্যান্য উন্নত দেশগুলির তরফে। ফলে মডার্নার তরফে আগামী সপ্তাহে অন্তত ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন হাতে পাবে তারা। সবমিলিয়ে, প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ করোনা টিকা দেওয়া হবে বাংলাদেশকে। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী জানিয়েছেন, ভারতে করোনা টিকার জোগান বেড়ে থাকলে বাংলাদেশকেও টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। রবিবার তিনি সেসব খতিয়ে দেখার উদ্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আগরতলায় এসেছেন।
[আরও পড়ুন: ২৩ জুলাই থেকে ফের কড়া Lockdown বাংলাদেশে, বন্ধ হচ্ছে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান]
পরপর কয়েকদিন এতগুলি টিকাপ্রাপ্তির খবরের পর রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, প্রত্যেক দেশবাসী করোনা টিকা পাবেন। কেউ বঞ্চিত হবেন না। এমনই ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছি। ভ্যাকসিন আসছে। আমাদের দেশের সবাই যেন ভ্যাকসিনটা নিতে পারে, সে জন্য যত দরকার, আমরা তা কিনব এবং সবাইকে ভ্যাকসিনটা দেব।’’ পাশাপাশি সতর্কতা বজায় রাখতে তাঁর বার্তা, ‘‘করোনার এই পরিস্থিতিতে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।’’