সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এরইমাঝে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ছেড়ে চপারে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। জানা যাচ্ছে, আগরতলায় অসম রাইফেলসের শিবিরে হাসিনাকে নিয়ে নেমেছে সামরিক হেলিকপ্টার। সেখান থেকে কলকাতার সেনা সদর ফোর্ট উইলিয়ামে আসতে পারেন মুজিব কন্যা। অনুমান করা হচ্ছে, হাসিনার অবর্তমানে বাংলাদেশের শাসনভার উঠতে চলেছে সেনার হাতে। সূত্রের খবর
সোমবার হাসিনা গণভবন ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরেই ঢাকার গণভবনে আছড়ে পড়ে জনতার ভিড়। দখল নিয়ে নেওয়া হয় গণভবনের। চলে ভাঙচুর। ভেঙে ফেলা হয় বঙ্গবন্ধুর মূর্তিও। ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি যে পথে যাচ্ছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে নয়াদিল্লি। অনুমান করা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশের এই অশান্ত পরিস্থিতির পিছনে সরাসরি রয়েছে পাকিস্তানের যোগ। হাসিনার পদত্যাগের পর সরকারের রাশ কার হাতে যাবে তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, গোটা পরিস্থিতি আঁচ করে আজই আইবি প্রধান তপন ডেকাকে নিয়ে ঢাকা পৌঁছে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
[আরও পড়ুন: অভিবাসী-বিরোধী বিক্ষোভে জ্বলছে ব্রিটেন, কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]
এদিকে কট্টরপন্থী অনির্বাচিত বিএনপি কিংবা জামাতের হাতে যাতে ক্ষমতার রাশ না যায় তার জন্য বাংলাদেশ সেনার কাছে সোশাল মিডিয়ায় আবেদন জানিয়েছেন হাসিনা পুত্র। বাংলাদেশ সেনার কাছে তাঁর আবেদন, 'কোনও অনির্বাচিত কাউকে সরকার গঠন করা থেকে যেন আটকানো হয়।' পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, 'সংবিধান মেনে এই দেশ ও দেশবাসীর নিরাপত্তা এখন আপনাদের হাতে।'
[আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে মেয়েদের ধর্ষণ! ছেলেদের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক! অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সপা]
এদিকে বাংলাদেশের ঘটনা পরম্পরা যে পথে এগোচ্ছে তা চিন্তা বাড়াচ্ছে নয়া দিল্লির। প্রতিবেশী দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পিছনে সরাসরি পাক যোগ দেখছে ভারত সরকার। ভারতের চিন্তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতনের পর যদি সেখানে কট্টরপন্থী জামাতের আবির্ভাব হয় সেক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে ধাক্কা খেতে পারে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, পাক ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশ তৈরি হলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বাড়বে সেখানে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সমস্যা ব্যাপক বেড়ে উঠতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।