সুকুমার সরকার, ঢাকা: আবারও বিরোধ দল বিএনপি’র বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সাফ কথা,” পলাতক আসামি যে দল চালায়, জনগণ তাদের কী আশায় ভোট দেবে।”
[আরও পড়ুন: দশ মাসে ৭৪ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ, বাংলাদেশের মাদ্রাসার কাণ্ড ঘিরে শোরগোল]
শুক্রবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামি লিগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে হাসিনা বলেন, “বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে? পলাতক আসামি যে দল চালায়, জনগণ তাদেরকে কী আশায় ভোট দেবে? এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম-আয়েশে আছে। তাদের এই আয়ের উৎস কী?” বলে রাখা ভাল, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার বিরুদ্ধেই হসিনার এই আক্রমণ। বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন খালেদা। একাধিক অপরাধে সাজপ্রাপ্ত তারেক বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন।
সাম্প্রদায়িক হিংসায় অভিযুক্ত খালেদা জিয়ার পুত্র তারেককে দেশে ফেরাতে তৎপর হাসিনা সরকার। এই মর্মে লন্ডনের সঙ্গে গোপনে আলোচনাও চলছে ঢাকার বলে সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের করা মন্তব্য সেই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, প্রত্যর্পণের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাই জনসমক্ষে তা আলোচনা করা ঠিক হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, তারেক জিয়ার প্রত্যর্পণ চাইছে ঢাকা। তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন এড়াতে এখনই তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ব্রিটেন।
বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোয় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় এবার নাম জড়িয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। দুর্নীতি-সহ দেড় ডজন মামলা ঝুলছে স্বেচ্ছায় লন্ডন প্রবাসী তারেকের বিরুদ্ধে। এই কাণ্ডে বিএনপির সঙ্গী ছিল মৌলবাদী দল জামাতও। এমনটাই অভিযোগ করেন আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুধু তাই নয়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-সহ কয়েকটি মামলায় বাংলাদেশের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই তাঁকে ফেরত আনার বিষয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগে জোর দিচ্ছে। এখন ব্রিটেনের কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়টি আবার তুলে ধরেছে ঢাকা। বিশেষ করে গত মাসে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের ভারচুয়াল রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।