বিশ্বদীপ সাহা, কোচবিহার: রবিবার সকালে বাংলাদেশে থেকে চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে থেকে প্রায় ৪০০ ছাত্রছাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছেন। সকল ছাত্রছাত্রীর চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। ভারতে ঢুকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তাঁরা। এক ডাক্তারি পড়ুয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো। এদিন তাঁরা ভোর ৩টের দিকে বেরিয়ে সকালে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রশাসনের তরফে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবারও উত্তরের ফুলবাড়ি ও চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরেন বহু পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে আটকে রয়েছে আরও পড়ুয়া। তাঁদের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। সূত্রের অনুয়ায়ী জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী অন্যদেশের পড়ুয়া ভারতে আসতে চাইলে তাঁদেরও সাহায্য করা হবে।
[আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশের সীমান্তে আটকে ট্রাক, আসছে না ইলিশ, ক্ষতি কয়েক কোটি]
এদিন দেশে ফিরে গুজরাটের (Gujarat) বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া খুশি সানাডিয়া বলেন, "বাংলাদেশে সব কিছু বন্ধ। দেশজুড়ে কার্ফু রয়েছে। এখন অবস্থা একটু ভালো। তবে প্রথমদিকে আন্দোলনে হিংসা হয়েছে। আমি রংপুরে ছিলাম। সেখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা খুব ভয়ের মধ্যেই ছিলাম। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে। অবশেষে নিজের দেশে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।" ডাক্তারির আরও একটি পড়ুয়া বলেন, "কলেজ ও বাইরের সব জায়গাতেই অসুবিধা ছিল। ভারতীয় দূতাবাসের থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি।"
কোটা আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রতিবেশী দেশজুড়ে জারি কার্ফু। ইন্টারনেট থেকে যোগাযোগ টেলিকম যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। পরিবর্তী নির্দেশ দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এমনকী হস্টেলগুলিও খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত লাগোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে যেমন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন তেমনই রয়েছেন নেপাল-ভুটানের পড়ুয়ারাও। শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ভারতে ঢুকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি আটকে টাকা তোলার অভিযোগ তোলেন। নেপালে এক পড়ুয়া অস্মিতা কারগির তুলে বলেন, "গাড়ি আটকে টাকা তোলা হচ্ছিল। সেই টাকা দিয়ে অবশেষে আসতে পেরেছি।"