shono
Advertisement
Bangladesh Situation

'নিষিদ্ধ করা হবে আওয়ামি লিগকে', বদলার বাংলাদেশে ঘোষণা ইউনুসের উপদেষ্টার

এখন শেখ হাসিনার সম্পত্তিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে 'বিল্পবী' ছাত্ররা।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 10:26 AM Feb 08, 2025Updated: 12:21 PM Feb 08, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে আওয়ামি লিগ। এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করবে বলে জানালেন মহম্মদ ইউনুসের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে সচেষ্ট ইউনুস। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একে একে দেশ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতি। এখন শেখ হাসিনার সম্পত্তিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে 'বিল্পবী' ছাত্ররা। এবার মুজিবকন্যার রাজনীতিতে ফেরার পথ একেবারে বন্ধ করতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ইউনুস সরকার।  

Advertisement

কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার কমিশন জানিয়েছিল, আওয়ামিকে আদালত বা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে তারা নির্বাচনে লড়তে পারবে। ভোটযুদ্ধে নামতে হাসিনার দলের এমনিতে কোনও বাধা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণায় ক্ষেপে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় তারা। একই সুরে সুর মেলায় বিএনপি, জামাতও। গত তিন দিনে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বদলার বাংলাদেশ। দিকে দিকে মুজিব ও হাসিনার সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে। হামলার মুখে পড়েছেন আওয়ামির নেতা-কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

এই বিষয়ে যে রাজনৈতিক দলগুলোকে একজোট করার প্রক্রিয়া চলছে, তা স্পষ্ট। এদিন সজীব আরও বলেন, "প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও একধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।"

অন্তর্বর্তী সরকার তো নির্বাচিত সরকার নয়। তাহলে কীভাবে তারা অন্য রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে পারে? নিজেই এর উত্তর দিয়ে সজীব দাবি করেন, "বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনও দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার আইনি কাঠামো কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিচার প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই–আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচারী আওয়ামি লিগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে আওয়ামি লিগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করা-সহ যেকোনও ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত, সে ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে।"

কিন্তু সজীব যতই দাবি করুন না কেন, ইউনুস সরকারের বৈধতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। তাই তারা কীভাবে একটা দলকে নিষিদ্ধ করবে বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানকে ফেরত চেয়ে অন্য দেশকে চিঠি দিতে পারে, এরকম একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া এই ছাত্রনেতারাই হাসিনার পতনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন। অথচ তাঁরাই একটা রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া ও নিষিদ্ধ করে দেওয়ার ডাক দিচ্ছেন। এটা কি স্বৈরতন্ত্র নয়? এদিকে, ক্ষমতা ছাড়তে চান না ইউনুসও। এক সময় ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু আদতে বদল নয়, বদলার রাজনীতি করছে তাঁর সরকার। এখন ইউনুস উঠেপড়ে লেগেছেন কোনও না কোনও অজুহাতে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে দিতে। যাতে নির্বাচনের আগে পথের কাঁটা সরে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে সচেষ্ট ইউনুস।
  • তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একে একে দেশ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতি।
  • মুজিবকন্যার রাজনীতিতে ফেরার পথ একেবারে বন্ধ করতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ইউনুস সরকার।  
Advertisement