সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের গুলির লড়াই বাংলাদেশে (Bangladesh)। এবার দেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতী। আহত হয়েছেন দুই নিরাপত্তারক্ষীও। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: চলতি মাসেই স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বসছে ভারত ও বাংলাদেশ]
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় পাঁচশো কিলোমিটার দূরে টেকনাফ জেলার শালবাগান পাহাড়ি এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে লড়াই হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। প্রায় ঘণ্টাখানেক লড়াইয়ের পর নিকেশ হয় তিন দুষ্কৃতী। এরা কুখ্যাত ‘জাকির গ্যাং’-এর সদস্য। মাদক পাচার থেকে শুরু করে নানা অপরাধে জড়িত রয়েছে এই গ্যাং। তবে এদিন দলটির প্রধান জাকির নিহত হওয়ায় দুষ্কৃতীদের দাপট কমবে বলেই মনে করছে প্রশাসন। টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের হাজী আবদুল আমিনের ছেলে জাকির। বাকি দু’জনের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
র্যাব-১৫ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদি হাসান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গতকাল র্যাবের একটি দল টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জাকির-সহ তার বাহিনীর লোকজন র্যাবের ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় র্যাবও পালটা হামলা চালায়। বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত লড়াই হয়। পরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে জাকির বাহিনীর প্রধান-সহ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় জাকিরের আস্তানা থেকে দু’টি পিস্তল, দু’টি বন্দুক এবং পাঁচটি ওয়ান শুটার, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মেজর মেহেদি হাসান। উল্লেখ্য, মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মাদক পাচার থেকে শুরু করে নানা অপরাধে জড়িয়ে সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা।