সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের মারে বেকায়দায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই মারণ রোগের কোন নির্দিষ্ট দাওয়াই না থাকায় দ্রুত টিকাকরণই রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ। তবে দেশে ভ্যাকসিনের অভাবে টিকাদান প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এহেন সংকট কালে ১৫ আগস্টের মধ্যেই দেশে ৫৪ লক্ষ ডোজ প্রতিষেধক আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের খুলনায় হিন্দু মন্দিরে হামলা, মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০]
সোমবার রাজধানী ঢাকার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক বলেন, “কোভ্যাক্স থেকে আরও ৩০ লক্ষ এবং চিন থেকে কেনা ১০ লক্ষ টিকা ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে পৌঁছাবে। এ ছাড়া আরও ১০ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেবে চিন। সবমিলিয়ে মোট ৫৪ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ আসবে।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এতে সুবিধা হবে। টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছে, সেটা বজায় রাখা যাবে।” এছাড়া, চিন থেকে কেনা আরও ৫০ লক্ষ টিকা এই মাসেই পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। এদিকে, মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হওয়ার একদিন আগেই অর্থাৎ আজ সোমবার রাজধানীর সড়কে প্রচুর সংখ্যক যানবাহন নেমেছে। বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহন সড়কে চলছে। যানবাহনের চাপে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত পুলিশ তল্লাশিকেন্দ্রগুলি অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেল যানজট।
উল্লেখ্য, এপর্যন্ত সবমিলিয়ে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৯৫জন। মারণ ভাইরাসটিকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৪৪৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৬৫২ জনের। বলে রাখা ভাল, মহামারী করোনার (Corona virus) সংকট কাটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি করছে বাংলাদেশ। প্রথমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকেই ভ্যাকসিন চেয়ে পাঠায় হাসিনা সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই টিকা দিয়েই দেশে গণটিকাকরণ শুরু হয়। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় মাঝে টিকা রপ্তানি বন্ধ ছিল সেরামের তরফে। ভারত ছাড়াও চিন, রাশিয়া থেকেও টিকা কিনছে বাংলাদেশ। এদিকে, WHO’র আন্তর্জাতিক টিকাকরণ প্রকল্প ‘কোভ্যাক্স’-এর আওতায় বাংলাদেশও বেশ কিছু টিকা পাবে আমেরিকার ও অন্যান্য উন্নত দেশগুলির তরফে। সবমিলিয়ে, প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হবে বাংলাদেশকে।