সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়াদের আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। সেখানে আটকে পড়া বেশিরভাগ ভারতীয় হিন্দুরা চেষ্টা করছেন যে কোনও মূল্যে দেশে ফেরার। আর সেই পরিস্থিতিতেই একেকজনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে ভয়ংকর। রাস্তায় আটকে তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। টাকা-পয়সা, গয়না হাতানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দাবি পূরণ না হলে পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসার কারণে ওপার বাংলার যাঁরা ভারতে নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতাও ভয়াবহ।
কোটা সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে প্রায় ২ মাস ধরে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছিল বাংলাদেশে। পরবর্তীতে গোটা অশান্তিই হয়ে ওঠে হাসিনা সরকার বিরোধী। সোমবার তা ভয়াবহ আকার নেয়। গণভবনের দখল নেয় আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে হয় শেখ হাসিনাকে। ভারত ও বাংলাদেশের বহু মানুষ নিয়মিত দুই দেশে যাতায়াত করেন। কেউ ব্যবসায়িক কারণে, কেউ আবার আত্মীয়ের কাছে যান।
[আরও পড়ুন: কী হয়েছিল বাংলাদেশে? রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের দাবি ব্রিটেনের]
এরকম অনেকেই আটকে ছিলেন বাংলাদেশে। সোমবার পরিস্থিতির জটিলতা বাড়তেই ওদেশে আটকে থাকা ভারতীয় হিন্দুরা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেও সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়ির বাসিন্দা মতি নন্দী জানান, তিনি ২৮ দিন আগে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। এদিন ফেরার পথে সীমান্তের কাছে তাঁর পথ আটকায় একদল যুবক। প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশি হিন্দু হওয়ায় দেশ ছাড়ছেন কি না। এর পর পাসোপোর্ট দেখাতেই তা কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে টাকা দিলে ফেরত পাওয়া যায় পাসপোর্ট।
এদিকে ভারতে থাকা বাংলাদেশিরা যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সঙ্গে। আতঙ্ক গ্রাস করছে তাঁদের। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের একাধিক ব্যবসায়ীও ব্যবসার কাছে ভারতে আসতে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়ছেন। বাংলাদেশের আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরাও।