সুবীর দাস, কল্যাণী: বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে চেয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তা শুনেই বকাবকি করেন মা। সাফ জানিয়ে দেন, অনুমতি দেওয়া হবে না। তাতেই চরম অভিমান হয় ছাত্রের। পরিণতি হল মর্মান্তিক। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে নাবালকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল নদিয়ার কল্যাণী। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের নাম দেবরতি তপাদার। বয়স ১৪ বছর। কল্যাণী পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্ত তালতলা এলাকার বাসিন্দা সে। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত সে। এলাকারই স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। স্বাভাবিকভাবেই মায়ের কাছে অনুমতি চায় দেবরতি। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। উলটে মায়ের বকুনি খেতে হয় তাকে। এরপর সে ঘরে চলে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘরে কিশোরের গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ দেখতে পান মা।
বধূর আর্তনাদে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। তড়িঘড়ি দেবরতিকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তখনই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলের এই মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মায়ের কথায়, "এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে ভাবতে পারিনি।"
