সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে ছাত্ররা রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছিল, সেই ছাত্ররাই কী করে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য ভাঙতে পারে? প্রশ্ন তুললেন তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত পোস্ট করছেন লেখিকা। বুধবার সকালে ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ভাঙা মূর্তির মাথা পড়ে রয়েছে মাটিতে।
ঠিক কী লিখেছেন তসলিমা (Taslima Nasrin)? তিনি লেখেন, 'মবোক্রেসি থেকে ডেমোক্রেসি কি আদৌ আসবে? সেটা ডেমোক্রেসি নয় কিন্তু, যদি মবোক্রেসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও একটা রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন থেকে গায়ের জোরে বাদ দিতে হয়। যে মবকে পুলিশ বা আর্মি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সেই মবকে নিয়ন্ত্রণ কে করবে? যে ''জাগ্রত ছাত্র জনতা'' রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে মানুষকে মুগ্ধ করেছিল, সেই জাগ্রত ছাত্র জনতা রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য ভেঙে গুঁড়ো করেছে। তাহলে ওই গান ছিল লোক দেখানো? ছিল 'ভুয়া'? সেই ছাত্ররা কি তাদের স্কুলে আর ফেরত যেতে পারবে যে ছাত্ররা হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে? পাবলিক প্রপার্টি পুড়িয়ে দিয়েছে? মানুষের ঘরবাড়ি লুট করেছে? আমার মনে হয় না। খুনের নেশা কিন্তু মারাত্মক। নতুন সরকার অপছন্দের কাজ করলে নতুন সরকারকেও খুন করতে যাবে তারা।'
প্রসঙ্গত, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার পর দেশ ছাড়েন হাসিনা। অন্দর থেকে চুরি হয় বহু জিনিসপত্র। সেই সঙ্গেই দেখা যায়, উন্মত্ত জনতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Mujibur Rahman) মূর্তি ভেঙে ফেলছে। এবার অভিযোগ উঠল রবীন্দ্রনাথের মূর্তিও ভেঙে ফেলার।
[আরও পড়ুন: ভয়ে ঘুম ছুটেছে ছিটমহলের, বসিরহাটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামে বিএসএফের নজরদারি]
এদিকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবি মেনে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। তবুও এখনও অশান্ত বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দু থেকে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে আওয়ামি লিগের অন্তত ২৯ জন নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।