সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ-ভুটানের (Bangladesh-Bhutan)মধ্যে বাণিজ্য আরও সহজ করতে এবার ভারত হয়ে পণ্য পরিবহণের জন্য এবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হল দু’দেশের মধ্যে। বুধবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে (Thimphu) এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই চুক্তির জেরে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে বলে জানিয়েছে ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রক।
চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি স্বাক্ষর করেন। ভুটানের তরফে সই করে সে দেশের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্মা দর্জি। দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির (Agreement) শিরোনাম হচ্ছে ‘প্রোটোকল অব দ্য এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ভুটান’। এর অংশ হিসেবে চারদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর কথায়, দেশের জন্য কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী মন্দার মাঝেই আশার আলো, চলতি বছরে ভারতীয়দের বেতন বাড়তে পারে ১০.২ শতাংশ]
বুধবার ঢাকায় (Dhaka) বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই যুগান্তকারী চুক্তি দু’দেশের মধ্যে অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর হবে। এমনই আশা ঢাকার। ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি হওয়ায় স্থলপথে কম খরচে উভয় দেশের পণ্যবাহী ট্রাক (Truck)ভারত হয়ে সরাসরি চলাচল করতে পারবে। ফলে ভুটানে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাড়তি সুফল পেতে হলে রাস্তাঘাট-সহ বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলি (Sea Port) আরও কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে।