সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় (Dhaka)পয়লা বৈশাখ উদযাপনে অন্যতম অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা।এবার মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে নানা পক্ষ থেকে হুমকি, পালটা প্রতিবাদের জেরে পুলিশ বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে শুক্রবার সাড়ম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা (Mangal Shovayatra) বের হয়। শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ছিল পাঁচ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ নিরাপত্তার বিভিন্ন ব্যবস্থা ছিল। বিশ্বে শান্তির বারিধারা নেমে আসুক, এই প্রত্যয়ে এবারের শোভাযাত্রার থিম ছিল ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।
এদিন সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল এলিট বাহিনি র্যাবের (RAB)একটি দল। তাদের পিছনে ছিল ডিএমপি পুলিশের একটি দল। এরপর ছিলেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা। এছাড়াও ড্রোন (Drone) উড়িয়ে পুলিশ এবং ডিবির সদস্যরা শোভাযাত্রাস্থল ও আশপাশের জায়গা সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখেন। তাঁদের পিছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আখতারুজ্জামান, সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও এএসএম মাকসুদ কামাল, চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় ছিলেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। শোভাযাত্রায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলিতে ছিল তল্লাশি চৌকি।
[আরও পড়ুন: ‘শ্বেত হস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল, একক নিয়ন্ত্রণ মানব না,’ বিস্ফোরক ব্রাত্য]
শোভাযাত্রা ঘিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বহিরাগত গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে কাঁটাবন মোড় থেকে মৎস্যভবন মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করা হয়। চতুর্দিকে মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
[আরও পড়ুন: মোরবির পর জম্মু, বৈশাখী পার্বন উদযাপনের সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু, আহত বহু]
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখ যেন ঢাকাবাসী-সহ দেশের সব বাঙালি উৎসবমুখরভাবে উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে।” রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, রবীন্দ্র সরোবর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ নিয়োজিত ছিল।