সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশ সরকার। বুধবার সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হল বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে(Bangladesh Chhatra League)। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ বৈঠকের পরে ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারকে। তার পরেই বাংলাদেশ ছাত্র লিগের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ মহম্মদ ইউনুসের সরকারের।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্র লিগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় তারা। তবে ডেডলাইন পেরনোর আগেই কড়া পদক্ষেপ করল বাংলাদেশ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে খুন, অত্যাচার, ক্যাম্পাসগুলোতে দমনপীড়ন, ধর্ষণ, যৌন হেনস্তা এবং আরও নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন। এছাড়াও ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের উপর লাগাতার হামলা চালিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা। তাই সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হল বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে।
আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন থেকে আনন্দ মিছিল বের করেন। টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে মিছিল শেষ করে তাঁরা সমাবেশ করেন। উল্লেখ্য, ফের অগ্নিগর্ভ হতে শুরু করেছে পদ্মাপারের পরিস্থিতি। পদত্যাগ করতে হবে ‘হাসিনার বন্ধু’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকেও, এই দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই সরব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে রাতে তাঁরা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে অন্তত ৫ জনের আহত হন। তার মধ্যেই নিষিদ্ধ করা হল শেখ হাসিনার দলের ছাত্র সংগঠনকে।